ঝালকাঠি: ঝালকাঠির নলছিটিতে আলোচিত জিয়াউল আহসান ফুয়াদ কাজী হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। তারা বলছে, চার লাখ টাকা চুক্তিতে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
ফুয়াদ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত মো. মিজানুর রহমানকে (৫১) গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র।
গত ৭ জানুয়ারি রাতে জাতীয় নির্বাচনী কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চৌদ্দবুড়িয়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জিয়াউল আহসান ফুয়াদ কাজীকে।
তখন সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ চুক্তিতে হত্যায় অংশ নেওয়া উপজেলার কুশংগল ইউনিয়নের বাসিন্দা আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে মিজানুর হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এসময় তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ফুয়াদ হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দি অনুযায়ী কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া মিজানুর রহমানকে ধরা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, হত্যায় তারা দুজন অংশ নেন। তার সঙ্গে থাকা আরেকজন ফুয়াদ কাজীর কোমর ঝাপটে ধরেন এবং তিনি অনবরত কোপাতে থাকেন। এসময় ফুয়াদকে ধরে রাখা ওই সহযোগীর হাতও মারাত্মক জখম হয় বলে জানান মিজানুর।
তিনি আরও জানিয়েছেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম হাওলাদার তাদের ফুয়াদ হত্যার জন্য ভাড়া করেন।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী বাংলানিউজকে জানান, ফুয়াদ কাজী হত্যায় যারা সরাসরি জড়িত, তাদের মধ্যে অন্যতম মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তার সহযোগীকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
এইচএ/