ফরিদপুর: ‘দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী রেখা (১৫)। প্রতিবেশি চাচাতো ভাই শাহজালাল ওরফে শাহাদাত (১৬) সেখানে যায়।
সোমবার (১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, হত্যার পর ওই কিশোরীর মরদেহ পাটক্ষেতে রেখে বাড়িতে গিয়ে শাহাদাত তার বাবা টুকু মাতুব্বরের কাছে হত্যার বিষয়টি জানায়। তার বাবা তখন তাকে গালমন্দ করে। শাহাদাতের বাবা ঘটনার দিন বিকেল ৫টার দিকে ধানক্ষেত দেখতে যাওয়ার ভান করে পাটক্ষেতে গিয়ে রেখার মরদেহ দেখে এসে একটি নাটক সাজিয়ে কিশোরীর পরিবারকে জানান যে রেখার মরদেহ পাটক্ষেতের মধ্যে পড়ে আছে।
পুলিশ সুপার জানান, পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শাহাদাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় রেখার পরনের সালোয়ার-ওড়না এবং শাহাদাতের একটি স্মার্টফোন, একটি জার্সি ও হাফপ্যান্ট। পরে শাহাদাত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহানশাহ, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল রশিদ, ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) তুহিন লস্কর, ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কোতোয়ালি জোন) আব্দুল মতিন প্রমুখ।
এর আগে শুক্রবার (২৮ জুন) ফরিদপুরের ভাঙ্গার হোগলাকান্দী এলাকায় একটি পাটক্ষেত থেকে রেখা নামের এক কিশোরীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার একদিন পর থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট মাঠে নামে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৪
এএটি