ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬ সে.মি. ওপরে, সুবিধাদি বন্ধের পথে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৪
সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬ সে.মি. ওপরে, সুবিধাদি বন্ধের পথে

সুনামগঞ্জ: টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হচ্ছে। স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঢলের পানি ঢুকছে।

এতে বিভিন্ন সুবিধাদি বন্ধের উপক্রম হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বন্যা কবলিত মানুষ।

সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে শুরু করে। এতে নিম্নাঞ্চলের বাসা-বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। জেলার সঙ্গে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে কয়েকটি উপজেলার।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাত হবে। এতে নদ-নদীর পানি বাড়বে। কোনো এলাকায় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। নিচু এলাকায় বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলার সীমান্ত এলাকায় যাদুকাটা, চেলাসহ সব নদী দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে গেছে তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়ক, সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়ক। অন্যদিকে জেলার ছাতক দোয়ারা বাজার উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। এছাড়াও বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার জেলার মধ্যনগর, ধর্মপাশা, জগন্নাথপুর, শাল্লা, দিরাইসহ সব উপজেলার পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামাল হোসেন জানান, প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। ভারত থেকে সীমান্ত এলাকার নদীগুলো দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবল বেগে ভাটির দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এই উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বাসা-বাড়িতে পানি বেড়েছে

জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী চারাগাও শুল্ক স্টেশন এলাকার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন জানান, মেঘালয় পাহাড় থেকে ঢলের পানি শুল্ক স্টেশন এলাকা দিয়ে প্রবল বেগে ভাটির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সীমান্ত সড়ক দিয়ে জেলা শহরে ও উপজেলায় চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনিতেই সীমান্ত সড়ক ভাঙাচোরা, কোনো রকম চলাচল করা যেত। এখন একবারেই খারাপ অবস্থা।

আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মিলন তালুকদার বলেন, আমাদের ইউনিয়নের দক্ষিণকুন, সীমানাসহ নদীর তীরবর্তী গ্রামের ভেতর দিয়ে যাদুকাটা নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। বসত বাড়ি ভাঙন ধরেছে ও নিচু এলাকার বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে। হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন।

তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসাইন জানান, পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আনোয়ারপুর ব্রিজের সামনের অংশ নিচু থাকায় যাদুকাটা নদী দিয়ে বয়ে আসা ঢলের পানি সড়ক উপচে প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সঙ্গে যানবাহন চলাচল বন্ধ। নৌকা দিয়ে মানুষজন চলাচল করছে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, জেলায় বন্যা মোকাবিলায় আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৪
এমজে

 
 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।