ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বগুড়া কারাগারের জেলারকে বদলি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২৪
বগুড়া কারাগারের জেলারকে বদলি

বগুড়া: বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেল থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদি পালানোর ঘটনায় এবার জেলার ফরিদুর রহমান রুবেলকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে কারা অধিদপ্তর। তাকে রাজশাহী ডিআইজি প্রিজনের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

 

সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেল সুপার আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ৷

জেল সুপার বলেন, দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে জেলার ফরিদুর রহমান রুবেলকে বদলির নির্দেশ দিয়েছে কারা অধিদপ্তর। তাকে রাজশাহী ডিআইজি প্রিজন কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে দায়িত্বে অবহেলার বিষয় উঠে আসায় বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষী আব্দুল মতিনসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।

গত ২৫ জুন রাতে বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে বিছানার চাদরকে রশি হিসেবে ব্যবহার করে পালিয়ে যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি। পরে তাদের পুনরায় আটক করে পুলিশ ৷

তারা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু (৬০), নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিলের ছেলে আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১), বগুড়া কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া (৩৪) ও বগুড়া সদর উপজেলার কুটিরবাড়ি গ্রামের ইসরাইল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৩০)। তারা প্রত্যেকেই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

এ চার কয়েদি একই সেলে থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে গত ২৫ জুন রাত ৩টার দিকে তারা কনডেম সেলের ছাদ কেটে বস্ত্র ও বিছানার চাদর দিয়ে রশি বানিয়ে ছাদ থেকে নেমে পালিয়ে যায়। পরে ২৬ জুন ভোর ৪টার দিকে জেলখানার অদূরে একটি বাজার থেকে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।  

কয়েদিদের পালানোর বিষয়টি জেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে বিষয়টি জানায় ৩টা ৫৫ মিনিটে। এরপর পুলিশের সব ফাঁড়ি ও টহল দলকে অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪টায় সদর ফাঁড়ি পুলিশ পলাতক চার আসামিকে ধরে ডিবি কার্যালয়ে নেয়। সেখানে কারা কর্তৃপক্ষ গিয়ে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে। পরে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে আবারও তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিন সকালে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, ডিআইজি প্রিজনসহ একাধিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। এর পাশাপাশি কারা কর্তৃপক্ষসহ মোট তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটির তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২৪
কেইউএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।