ঢাকা, রবিবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

নোয়াখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কৃষকের মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৪
নোয়াখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কৃষকের মৃত্যু হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া মো. মহিন উদ্দিন

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সদর উপজেলায় প্রতিবেশীর কুড়ালের কোপে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. মহিন উদ্দিন (৩৮) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার আণ্ডারচর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।  

এর আগে, গত ১৯ জুন রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার আণ্ডারচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আণ্ডারচর গ্রামের বশির উল্যাহ বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত মহিন উদ্দিন উপজেলার আণ্ডারচর গ্রামের বশির উল্যাহ বেপারী বাড়ির মো. বশির উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।

নিহতের বড়ভাই মো. মোছলে উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের বাড়ির ৪০০ ফুট উত্তরে ২৪ শতাংশ জায়গা নিয়ে প্রবিবেশী আবুল বাশারের পরিবারের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। গত মাসের ১৯ জুন গভীর রাতে বাশার তার আরও দুই ভাই আব্বাস ও মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন আমাদের বিরোধপূর্ণ জায়গায় ঘর নির্মাণ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে আমি সুধারামা থানার পুলিশকে বিষয়টি জানাই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।  

তিনি আরও বলেন, পুলিশকে খবর দেওয়ায় বাশার ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন রাতে আড়াইটার দিকে আমাদের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় আমার বাবাসহ পরিবারের সাতজন গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে মহিন উদ্দিনকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। হামলার ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সুধারাম থানায় আমরা একটি মামলা দায়ের করেছি।  

এ ব্যাপারে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখমের অভিযোগে ১৯ জনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে পুলিশ মামলার কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন গুরুতর জখমের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় হত্যা মামলার ধারা সংযুক্ত করা হবে। পুলিশ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।