গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানার আমবাগ মধ্যপাড়া এলাকায় মাদরাসাছাত্র হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে উত্তরায় র্যাব-১ এর কার্যালয়ে র্যাবের সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন- ময়মনসিংহের মুক্তগাছা থানার পাউরিতলা এলাকার মৃত মজনু মিয়ার ছেলে মো. হাসান মিয়া (২০) ও একই থানার কুশকান্দা এলাকার ইস্কান্দার মিয়ার ছেলে মো. সাগর মিয়া (২২)।
নিহত সানজিদুল হক তামিম (৬) ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার মাটিজাপুর এলাকার নাজমুল হোসেনের ছেলে। গাজীপুরের আমবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করতো সে।
মাহফুজুর রহমান জানান, গত ৭ জুলাই সন্ধ্যায় তামিম তার বাবা নাজমুল হোসেনের প্লাস্টিকের ববিন কাটার গুদামে যায়। এ সময় হাসান মিয়া ও সাগর মিয়া হাতি দেখানোর কথা বলে তাকে তাদের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। পরে ওই বাসার বাথরুমের ভেতর দড়ি দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে আটকে রাখে। অপহরণকারী হাসান ও সাগর নিহত তামিমের বাবার গুদামে কাজ করতো। সেই সুবাদে তারা পূর্ব পরিচিত। তামিমকে ছেড়ে দিলে সে বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেবে এ ভয়ে ওইদিন রাতেই তামিমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে হাসান ও সাগর। পরে মরদেহ আমবাগ মধ্যপাড়া এলাকায় তামিমদের ভাড়া বাসার পাশে একটি কলাবাগানের ভেতর ফেলে রাখে।
পরদিন তামিমের বাবা নাজমুল হোসেনের কাছে মোবাইলে তারা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। নিহতের বাবা মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা নিয়ে ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জায়গায় যায়। কিন্তু অপহরণকারীরা তার সামনে আসেনি।
এক পর্যায়ে গত ১০ জুলাই দুপুরে আমবাগ এলাকায় কলাবাগান থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে লোকজন সেখানে গিয়ে তামিমের অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে র্যাব ছায়া তদন্তের মাধ্যমে আসামি শনাক্ত করে। এক পর্যায়ে গত ১২ জুলাই বিকেলে মুক্তাগাছা থানার কদুরবাড়ী এলাকা থেকে হাসান মিয়াকে ও সন্ধ্যায় ফুলপুর থানার কুশকান্দা এলাকা থেকে সাগর মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৪
আরএস/আরবি