ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খেলাধুলায় সুস্বাস্থ্য-প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে ওঠে: প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৪
খেলাধুলায় সুস্বাস্থ্য-প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে ওঠে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও শরীর চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা সকলকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবে, পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে।

শনিবার (জুলাই ১৩) বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) আয়োজিত ‘শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি (খেলাধুলা-শরীর চর্চা) যেমন সকলকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবে, পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে। নিজেকে আরও উন্নত করবার একটা চেতনা জাগ্রত হবে।

তিনি বলেন, খেলাধুলা, লেখাপড়া, সংস্কৃতি চর্চার মধ্যে দিয়ে নিজের দেশের সংস্কৃতি, নিজের জ্ঞান, নিজের মেধা-মনন, সেটা প্রকাশ করার সুযোগ পাবে। সেই জন্য খেলাধুলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেই আমরা।

খেলাধুলার প্রসারে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন সরকারে এসেছি তখন থেকে আমার প্রচেষ্টা, বাংলাদেশ যেন খেলাধুলায় আরও এগিয়ে যায়, ছেলেমেয়েরা আরও বেশি মনোযোগী হয়। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা উপজেলায় আমরা খেলার মাঠ করে দিচ্ছি, সেটা হলো শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সবাই যেন খেলোধুলার প্রতি আরও মনোযোগী হয়।

প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে সরকারপ্রধান বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা, এটা সবচেয়ে বেশি দরকার। সেজন্য আমরা প্রত্যেক বিভাগে একটি করে বিকেএসপি করে দিচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই খেলাধুলা সব দিক থেকে দেশ এগিয়ে যাক। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি।

টানা চার বারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের অর্থনীতিকে উন্নত করেছি, দারিদ্র্যের হার আমরা অর্ধেকের বেশি কমিয়ে এনেছি, এখন ১৮ দশমিক ৭ ভাগ। অতি দারিদ্র্যের হার ২৫ ভাগের ওপরে ছিল, তা ৫ দশমিক ৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। ইনশাল্লাহ, এইটুকু থাকবে না। বাংলাদেশে কোনো মানুষ অতিদরিদ্র থাকবে না। প্রত্যেককে বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি, লেখাপড়ার বই দিচ্ছি, বৃত্তি দিচ্ছি, সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এই ধারা অব্যাহত রেখে আমরা এগিয়ে যাব। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে বিশ্ব দরবারে এগিয়ে যাবে, উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে।

খেলাধুলায় বাংলাদেশ ভালো করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে মেয়েদের বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতা আছে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে ভালো খেলোয়াড় উঠে আসছে। তারা শুধু দেশে না, দেশের মাটি পার হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য মর্যাদা বয়ে নিয়ে আসছে। বাংলাদেশকে খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা, এটা তারা করছে।

ফুটবল টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে এক সময় উপযুক্ত খেলোয়াড় গড়ে উঠবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাধুলা করে কোনদিন হয়তো ফুটবলে আমরা চ্যাম্পিয়নও হয়ে যেতে পারি। সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।

টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্টান্ডার্ডড ব্যাংক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে ২-০ হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইসলামী ব্যাংক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৪
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।