ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ আগস্ট ২০২৪, ১৪ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

আইএমইআই পাল্টে কম অর্থে মোবাইল বিক্রি চক্র গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
আইএমইআই পাল্টে কম অর্থে মোবাইল বিক্রি চক্র গ্রেপ্তার

ঢাকা: রাজধানীর গুলিস্তান এলাকা থেকে ফোন ছিনতাই, ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) পরিবর্তন ও চোরাই মোবাইল বিক্রি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আব্দুল মোতালেব (৩৪), মাজহারুল ইসলাম অনিক (২৮), মো. মাহবুব (২৯) ও মো. তারেক জামিল সিয়াম (২৪)।

তাদের কাছ থেকে ১০৫টি চোরাই মোবাইল ও আইএমইআই পরিবর্তনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে ডিবি।

ডিবি জানায়, আইএমইআই পরিবর্তন করা মোবাইলগুলো গ্রেপ্তার আব্দুল মোতালেব ও মাজহারুল ইসলাম অনিক গুলিস্তান ও ওসমানী উদ্যান এলাকায় গোপনে সংরক্ষণ করতেন। এমনকি অভিযানকালে ওসমানী উদ্যানে অবস্থিত সিটি কর্পোরেশনের পাবলিক টয়লেটের ড্রয়ার থেকে প্রায় ৪৬টি মোবাইল জব্দ করা হয়।

সোমবার (১৫ জুলাই) মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় কয়েকটি চক্র মোবাইল ছিনতাই করে দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে আইএমইআই পরিবর্তন করে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে আসছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাতে গোয়েন্দা তেজগাঁ বিভাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম গোলাপশাহ মাজার মসজিদ এলাকা ও ওসমানী উদ্যান কেন্দ্রিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার ও ১০৫টি চোরাই মোবাইল জব্দ করে।

হারুন বলেন, গ্রেপ্তার আব্দুল মোতালেব ও মাজহারুল ইসলাম অনিক ছিনতাইকারীদের মদদদাতা। তাদের অধীনে তারেক জামিল সিয়াম ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে মোবাইল সংগ্রহ করে থাকে। চোরাই মোবাইলগুলো সংগ্রহ করে গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটে তারেক জামিল সিয়ামের দোকানে ফোন ফ্ল্যাশ দিয়ে আইএমইআই পরিবর্তন করে আব্দুল মোতালেব ও মাজহারুল ইসলাম অনিকদের কাছে সরবরাহ করত। আইএমইআই পরিবর্তনের কারণে পুলিশ মোবাইলগুলো খুঁজে পেত না।

মোবাইলগুলো মাহবুবের মাধ্যমে গোলাপশাহ মাজার মসজিদ এলাকা ও ওসমানী উদ্যান এলাকার ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকান এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত লোকজনের কাছে কম টাকায় বিক্রি করত। চক্রটির কাছ থেকে ১০৫টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মোবাইলের বেশিরভাগ আইএমইআই পরিবর্তন করেছে চক্রটি। এই চক্রটিতে আরও বেশ কয়েকজন রয়েছে। তাদের ধরতেও অভিযান চলমান বলে জানান হারুন অর রশীদ।

তিনি আরও বলেন, আইএমইআই পরিবর্তন করা মোবাইলগুলো ওসমানী উদ্যানে অবস্থিত সিটি কর্পোরেশনের পাবলিক টয়লেটের ড্রয়ার রাখতো চক্রের সদস্যরা। যারা মোবাইলের ক্রেতা ছিলেন তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বলা হতো পাবলিক টয়লেটের ড্রয়ারে রাখা আছে। ক্রেতারা পাবলিক টয়লেটের ড্রয়ার থেকে কাঙ্ক্ষিত মোবাইল আনতেন। এর সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের পাবলিক টয়লেট যারা টেন্ডার পেয়েছে তারাও জড়িত।

ডিবি প্রধান বলেন, আইএমইআই পরিবর্তন করতে পারেনি এমন কিছু মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ১৪টি মোবাইলের আসল মালিক ইতোমধ্যে খুঁজে পাওয়া গেছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, মোবাইলগুলো কুমিল্লা, নওগাঁ ও বরিশালসহ বিভিন্ন জেলা ও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন সময় ছিনতাই হয়েছে। প্রকৃত মালিককে তাদের মোবাইল ফেরত দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ১৫ জুলাই, ২০২৪
এমএমআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।