ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উল্টো রথযাত্রা দিয়ে শেষ হলো জগন্নাথদেবের মহোৎসব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
উল্টো রথযাত্রা দিয়ে শেষ হলো জগন্নাথদেবের মহোৎসব

ঢাকা: প্রভুর অনুগ্রহ এবং জীবরূপ থেকে মুক্তিলাভের আশায় ভক্তদের রথের দড়ি টানা ও উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হলো জগন্নাথদেবের রথযাত্রার মহোৎসব।

সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বের হয় উল্টোরথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।

বর্ণিল সাজে সজ্জিত ৩টি বিশাল রথে জগন্নাথ দেব, শুভদ্রা ও বলরামের প্রতিকৃতি নিয়ে বের হওয়া শোভাযাত্রাটি পলাশী, জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মাজার, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, গোলাপশাহ মাজার, গুলিস্তান, রাজউক ক্রসিং, দৈনিক বাংলা মোড়, শাপলা চত্বর, ইত্তেফাক মোড়, জয়কালি মন্দির মোড় হয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) মন্দিরে পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে রথযাত্রা উৎসবের।

এই যাত্রা পথে ভক্তরা চলন্ত রথের দড়ি ছুঁয়েছেন। রথ থেকে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয় প্রসাদ। এ সময় রথের সঙ্গে ভক্তরা ঢাক, ঢোল ও বাদ্যের তালে নেচে গেয়ে কীর্তন করেছেন।

এর আগে সকালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পদাবলি কীর্তন, আলোচনা সভা, হরিনাম সংকীর্তন।

সনাতন ধর্মমতে, প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে দাদা ও বোনকে নিয়ে রথে চড়ে মাসির বাড়ি যান জগতের অধীশ্বর জগন্নাথ দেব। দিনটি সোজা রথ হিসেবে প্রচলিত। আর এই সময় পূজার্চনা, নানা উপাচার আর বর্ণিল আয়োজনে ভক্তরা মাতেন আনন্দে, নামেন রাজপথে। প্রভুর অনুগ্রহ এবং জীবরূপ থেকে মুক্তিলাভের আশায় ভক্তরা টানেন রথের দড়ি। সোজা রথের যাত্রা শেষে দিন সাতেক পর আবার তারা ফিরে আসেন, সেই দিনটি উল্টো রথ হিসেবে পরিচিত। গত ৮ জুলাই শুরু হয়েছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা উৎসব।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।