ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

১০ তলা ভবনের মালিকও রাস্তায়-ড্রেনে বর্জ্য ফেলে: কেসিসি মেয়র 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৪
১০ তলা ভবনের মালিকও রাস্তায়-ড্রেনে বর্জ্য ফেলে: কেসিসি মেয়র  কথা বলছেন কেসিসির মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।

খুলনা: ‘এই শহরের নিম্নআয়ের বা বস্তি এলাকার মানুষকে আমরা বর্জ্য অব্যবস্থাপনার জন্য নানাভাবে দায়ী করি। কিন্তু শহরে যারা ১০ তলা পাঁচতলা ভবনের মালিক তারাও রাস্তায় ও ড্রেনে বর্জ্য ফেলে।

এই মানসিকতা থেকে অবশ্যই বের হয়ে আসতে হবে। ’

খুলনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঙ্কটের সমাধানে সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে একটি গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন খুলনা সিটি (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

এ সময় তিনি বলেন, খুলনা শহরটাকে সুন্দর করার জন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারের কাছ থেকে আমরা এরইমধ্যে ৪শ কোটি টাকা পেয়েছি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে শলুয়াতে একটা ল্যান্ডফিল করার প্রকল্প চলছে। সেখানে বর্জ্য থেকে উৎপাদিত হবে ডিজেল ও কমপোস্ট সার এবং বায়োগ্যাস প্লান্ট থেকে উৎপাদিত গ্যাস থেকে হবে বিদ্যুৎ। ওই প্রকল্পের কাজ এক বছরের মধ্যে শেষ হবে।

কেসিসির মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক তার বক্তব্যে খুলনাকে একটি আধুনিক ও আদর্শ শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সব দপ্তরকে আহ্বান জানান ও এ নিয়ে তার নিজস্ব পরিকল্পনা বিনিময় করেন। সেই সঙ্গে তিনি আশা ব্যক্ত করেন, সুশীলন এই প্রকল্পের কার্যক্রম শহরের অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও সম্প্রসারিত করবে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের ৫, ৯, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডসহ পর্যায়ক্রমে সব ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ডে পরিণত করার জন্য ইউএসএআইডি, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল এবং সুশীলনকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান মেয়র।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল খুলনার সিটি ইন হোটেলের বেইলি কনফারেন্স রুমে ‘এনভাইরনমেন্ট রেজিলিয়েন্স বিল্ডিং (ইআরবি)’ প্রকল্পের উদ্যোগে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ও কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়িত ‘প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইট্স (পিএআর)’ প্রকল্পের আওতায় চলমান এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বৈঠকটির আয়োজন করে সুশীলন।

সুশীলনের নির্বাহী প্রধান মোস্তফা নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাশাপাশি অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা (বিএনপি), শামিমা আক্তার খানম (আওয়ামী লীগ), আলতাফ পারভেজ জর্জ (আওয়ামী লীগ)  এবং শামিম হায়দার পাটোয়ারি (জাতীয় পার্টি)।

বিশেষ অতিথি কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী সাবিরুল আলম, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তুষার কান্তি রায়।

অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, আমরা যখন প্লেনে করে বিলেত, আমেরিকা যাই তখন আমরা অতি সভ্য অতি ভদ্র সব জানি। সর্দিটাও ঝেড়ে পকেটে ভরে ফেলি। কিন্তু আবার যখন দেশের মাটিতে নামি তখন কফ থেকে শুরু করে নাক ঝাড়া এমনকি বাথরুম পর্যন্ত নির্দ্বিধায় রাস্তায় করি। সরকারে যেই থাকুক মানুষের যদি বেসিক সচেতনতাই না থাকে তবে সরকারের পক্ষে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়।

বৈঠকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য জাতীয় সমর্থন বাড়ানোর লক্ষ্যে ককাস গঠনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অসুবিধাগুলো ও তা নিরূপণে কীভাবে ফলপ্রসূ কাজ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন বিভিন্ন সরকারি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

পাশাপাশি এই বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন সিটিজেন রাইটস প্রটেকশন কমিটির (সিআরপিসি) সদস্যরা, এনজিও প্রতিনিধিরা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা ও সাংবাদিকরা। খুলনা শহরের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন উপস্থিত সবাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৪
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।