ঢাকা: রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রামে কিছু সংখ্যক দূরপাল্লার বাস ছেড়েছে। তবে মেলেনি তেমন যাত্রী।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে এসব বাস ছেড়ে দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে গেলেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম।
বাস টার্মিনালে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে। ক্লাস বন্ধ থাকার পাশাপাশি ঢাকার পরিস্থিতির কারণে বাড়ি ফিলছেন তারা। গত কয়েকদিন সব যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বাড়ি ফিরতে পারেননি তারা।
হানিফ এন্টারপ্রাইজ কাউন্টারের ব্যবস্থাপক মো. আবদুল আলিম জানান, আজ সকাল ৯টা থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়া শুরু হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাস ছাড়া হবে। সকাল থেকে চট্টগ্রামে একটি এবং বরিশালে দুইটিসহ মোট তিনটি বাস ছেড়েছে।
ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের সুপারভাইজার মো. শান্ত জানান, সকাল ৬টা থেকে বাস চলছে। যাত্রী অনেকটাই কম নিয়ে বাসগুলো ছেড়েছে। ১০টা পর্যন্ত পাঁচটা বাস ছাড়া হয়েছে।
এদিকে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সারা দেশে হওয়া বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়। অনেক স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি ঘটে প্রাণহানিও। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৯৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিজিবি ও সেনাবাহিনী নামানো হয়। শুক্রবার রাত ১২টা থেকে সারা দেশে জারি করা হয় কারফিউ। সারা দেশের জেলাভেদে কারফিউ বিরতি দেওয়া হয়।
অবশেষে আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে চার ঘণ্টার জন্য খোলা হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। সেই সঙ্গে খুলছে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলোও। চলাচলও শুরু হয়েছে দূরপাল্লার বাসও।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
এফআর