ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আওয়ামী লীগ নেতার মামলায় বিএনপির ৮০০ নেতাকর্মী আসামি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
আওয়ামী লীগ নেতার মামলায় বিএনপির ৮০০ নেতাকর্মী আসামি

বরিশাল: জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং তার সহযোগী সংগঠনের ৮০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার রাজীব বাদি হয়ে মামলা করেন।

কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত আমানুল্লাহ আল বারী জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাতে এ মামলা করা হয়। মামলা কোনো আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

মামলায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারসহ ২৭ জন নামধারী এবং অজ্ঞাত ৮০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বে-আইনি জনতায় দেশিয় অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করতে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি এবং মারধর করে গুরুতর ও সাধারণ জখম এবং বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় বাদি অভিযোগ করেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসিলের জানমালের ক্ষতি, দোকান, পুলিশের উপর হামলা ও গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। গত ১৯ জুলাই বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাম-দা, হকিস্টিক, লাঠি, দা, পিস্তল ককটেল ও বন্দুকসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে নগরের সিএন্ডবি রোড বিএডিসির সামনে জড়ো হয়। পরে রাস্তা অবরোধ করে নাশকতা সৃষ্টি করতে গাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ‌্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সেখানে পৌঁছলে তাদের ওপর হামলা করে। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব তার সাথে থাকা পিস্তল দিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে গুলি করে। মানববর্ম তৈরি করে তাকে রক্ষা করা হয়।

মামলার নামধারীসহ অজ্ঞাত আসামিদের হামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নইমুল হোসেন লিটু, উপ-প্রচার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জনি, সাজ্জাত সেরনিয়াবাত, নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি ও শ্রমিক লীগ নেতা নাসিরউদ্দিনসহ বেশ কিছু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আহত হন।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন একাধিক বিএনপি নেতা। তারা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোক সভা ও র‌্যা‌লি শেষে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারসহ অর্ধশত নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।