খুলনা: মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি করে এক কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এম এম জামিল আহমেদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে জামিল আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আসামি জামিল আহমেদ খুলনা মহানগরের নির্জন আবাসিক এলাকার ৩ নম্বর সড়কের ১১৩/৯(ক) নং বাড়ির মৃত আকমান উদ্দিন মিনার ছেলে। তিনি বর্তমানে বরিশালে কর্মরত রয়েছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, জামিল আহমেদ ভুয়া সনদে চাকরি নিয়ে বেতন ভাতা বাবদ রাষ্ট্রের ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাবার নামে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বানিয়ে ২০০০ সালের ১৭ এপ্রিল কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান খুলনার বাসিন্দা এম এম জামিল আহমেদ। দুই যুগে বিভিন্ন ধাপে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) পদে কর্মরত।
চাকরির ২৪ বছর পর জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে জমা দেওয়া তার বাবার সনদটি ছিল ভুয়া। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে তার মায়ের সম্মানিভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভুয়া সনদে চাকরি নিয়ে বেতন-ভাতা বাবদ রাষ্ট্রের ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৪
এমআরএম/এমজেএফ