নীলফামারী: সৈয়দপুরে গত ১৮ জুলাই পুলিশের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইটি রাইফেল ও একটি রিভলবার হারিয়ে যায়।
এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে রাইফেল দুটি উদ্ধার করা গেলেও রিভলবারটি গত ১০ দিনেও পাওয়া যায়নি।
সৈয়দপুর থানা পুলিশ জানায়, আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর বেপরোয়াভাবে হামলা চালায়। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশও রাবার বুলেট ছোড়ে। ওই ঘটনায় হামলাকারীরা পুলিশের তিনটি অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। হামলায় ১২ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নাজমুল হুদা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত ৭৭ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থীর চোখে মারাত্মক জখম হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অনেক দুর্বৃত্তরা এতে ঢুকে পড়ে। তারাই মূলত পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। এরমধ্যে দুটি রাইফেল আমরা উদ্ধার করেছি। একটি রিভলবার এখনও সন্ধান মিলেনি।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় ১৯ জুলাই পুলিশ সৈয়দপুর থানায় তিনটি মাসলা করেছে। মামলায় এ পর্যন্ত ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম জানান, শান্তিপূর্ণ শহর সৈয়দপুরে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। কোনো নিরীহ মানুষ বিনা কারণে যেন গ্রেপ্তার না হন সেদিকে তারা নজর রাখছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৪
এসএম