ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মহেশখালী-কুতুবদিয়া সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
মহেশখালী-কুতুবদিয়া সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

ঢাকা: কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ‘মহেশখালী-কুতুবদিয়া সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষে ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৯ জুলাই) মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, গত ১৭ এপ্রিল মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২৪ নীতিগত অনুমোদন হয়। মহেশখালীতে যে ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে সেখানে একটা অথরিটি তৈরি করে, ওখানকার কার্যক্রমকে যাতে সমন্বয় করা যায় সে জন্য অথরিটি করা হয়েছিল।

তিনি জানান, নীতিগত অনুমোদনের পর আজকে এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। তবে একটু সামান্য পরিবর্তন আছে। আগে নাম ছিল- মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এখন প্রস্তাব করা হয়েছে মহেশখালী-কুতুবদিয়া সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কুতুবদিয়া শব্দটা যোগ হবে। কারণ যে জমির এলাকা নিয়ে এই অথরিটি হবে, সেখানে কুতুবদিয়ার জমি আছে।

গত ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মহেশখালী মাতারবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথ ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণার আওতায় মাতাবাড়িতে উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়।

তিনি জানান, মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে যাতে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা যায়, সেখানে গভীর সমুদ্রবন্দর সুবিধা থেকে শুরু করে উন্নয়নের মৌলিক কিছু অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে সামগ্রিক কিছু অঞ্চল চিহ্নিত করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করা যায়, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বেশকিছু কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। পুরো কাজ এখন আলাদা আলাদা মন্ত্রণালয় করছে।

তিনি আরও জানান, সমন্বিতভাবে এসব কাজ করতে মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের প্রধান হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীকে নিয়ে ১৭ সদস্যের বোর্ড থাকবে। কর্তৃপক্ষের মূল কাজ হবে নির্ধারিত এলাকায় ভূমি ব্যবহারের মাস্টারপ্ল্যান করে তা বাস্তবায়ন করা। যাদের ভূমি দেওয়া হবে, তারা যেন যথাযথভাবে কাজ করেন। মূল লক্ষ্য হবে বিদেশি বিনিয়োগ। এক্সপোর্ট ও ইমপোর্টের নিট টাইম যেন কম হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৫৫ হাজার ৯৬৮ একর জমি নিয়ে প্রকল্প এলাকার যে মাস্টারপ্ল্যান হবে, সেখানে যেন পরিবেশ সংরক্ষণ করা হয়, লবণ চাষ, পান চাষও যেন সুরক্ষিত থাকে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ যাতে ঘটে, তাতে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দিতে এটি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
এমআইএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।