বরিশাল: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতার প্রতিটি ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।
বিভিন্ন তথ্যসূত্রে বরিশালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের তেমন একটা সম্পৃক্ততা না পাওয়ার খবরও পাওয়া গেছে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।
শুধু বরিশালে নয়, ঢাকায় দক্ষিণাঞ্চলের কোনো জেলা থেকে কেউ নাশকতা করতে গিয়েছিল কিনা সেটিও খতিয়ে দেখছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে সহিংসতার সময় বরিশালের বিএনপি-জামায়াতের কেউ ঢাকায় ছিল কিনা এবং সহিংসতার সাথে জড়িত ছিল কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, সহিংসতার সময় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের ঢাকায় অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই তদন্তে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এক্ষেত্রে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজসহ প্রযুক্তি নির্ভর তদন্ত করে সহিংসতাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি, তবে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. ইলিয়াছ শরীফ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সহিংসতার সময় কারা কোথায় ছিল সেটি শনাক্ত করা হচ্ছে। আর ওইসময় কারা ঢাকায় ছিল এবং কারা ব্যাক করেছে সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে নাশকতার ঘটনার সাথে জড়িত নয়, কিংবা সাধারণ কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, যারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে, যারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চেয়েছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।
গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে আর্থিক বিষয়টি সামনে এলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বরিশালে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হন। কয়েকজন লাঞ্ছনার শিকারও হয়েছেন। ১৬ থেকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ঘটা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে, পুলিশের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ বেশ কিছু যানবাহন, পুলিশ ফাঁড়ি ও বক্স ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, বরিশাল নগরসহ রেঞ্জে নাশকতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ মামলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে। আর গ্রেপ্তার হয়েছে ২৬২ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৪
এমএস/এমজে