রাজশাহী: রাজশাহীর আদালত চত্বর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে একদল আন্দোলনকারীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার পর ওই এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে ১৮ জনকে আটক করে রাজপাড়া থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বর্তমানে আদালতপাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে ‘দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণ-গ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম ও খুনের প্রতিবাদে মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একাংশের নেতাকর্মীরা। আর এই কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই রাজশাহীর আদালতপাড়ার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। বিপুল পরিমাণ পুলিশও মোতায়েন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতির মধ্যে দুপুর আড়াইটার দিকে আদালত চত্বরে জড়ো হন কিছু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী। একটি সূত্রের দাবি, শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্বৃত্তরাও ঢুকে পড়ে সেখানে। তারা বিক্ষোভের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়, তাদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
আশপাশের সড়কে চলাচলের ওপরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকা দিয়ে যারাই যাচ্ছেন, তাদের তল্লাশি করা হচ্ছে। অনেকের মোবাইল ফোনও চেক করেছে পুলিশ।
রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হকও এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঘটনার পর ১৮ জনকে আটক করে রাজপাড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক।
রাজশাহীর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) সদরদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জামিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আন্দোলন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই রাজশাহী জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোথাও থেকে বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে কোর্ট চত্বরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর সেখান থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের পরিচয় শনাক্ত হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
এসএস/এমজে