ঝালকাঠি: তিন বোন, আর এক ভাইয়ের মধ্যে সেলিম তালুকদার ছিলেন মেজ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ৮টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহ নেওয়া হয় বাড্ডা লিংক রোডের বাসায়। সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শুক্রবার সকাল ১০টায় গ্রামের বাড়ি নলছিটিতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সেলিমের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এর আগে রাত আড়াইটার দিকে তার মরদেহ বাড়ি পৌঁছলে এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ সময় তার আত্মীয় স্বজন ও সহপাঠীরা কান্না ভেঙে পড়েন।
নিহত সেলিম তালুকদার রমজান ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পৌরসভার টিএনটি এলাকার সুলতান তালুকদারের ছেলে। বিজিএমই ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে দুই বছর আগে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করে নারায়ণগঞ্জের মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং মিলস লিমিটেড এর সহকারী মার্চেন্ডাইজার পদে চাকরি করতেন।
নিহত সেলিমের বাবা সুলতান তালুকদার জানান, ঘটনার দিন তিনি বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে রওনা দিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে কোটাবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। এ সময় মাথায়, বুকে ও পিঠে তার গুলি লাগে। ফুসফুসেও লাগে গুলি। চার হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে কোথাও চিকিৎসা না পেয়ে শেষে ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২৪
জেএইচ