ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষার্থী নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদে ববির ৩৫ শিক্ষকের বিবৃতি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৪
শিক্ষার্থী নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদে ববির ৩৫ শিক্ষকের বিবৃতি 

বরিশাল: দেশে চলমান শিক্ষার্থী নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।  

শুক্রবার রাতে দেওয়া ওই বিবৃতিতে প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন ৩৫ শিক্ষক।

বিবৃতিদাতা শিক্ষকরা হলেন- নুসরাত জাহান (মার্কেটিং বিভাগ), ড. মো. মুসহসিন উদ্দিন (ইংরেজি বিভাগ), ড. তানিয়া ইসলাম (সিএসই), সঞ্জয় কুমার সরকার (বাংলা বিভাগ), ইমরুল হাসান (প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি), তাইয়্যেবুন নাহার হিমি (বাংলা বিভাগ), শায়েলা হক (প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি), মো. হাসিব (প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি), উন্মেষ রায় (বাংলা বিভাগ), শ্যামোলিমা শহীদ খান (ইংরেজি), শফিকুল ইসলাম (ইংরেজি বিভাগ),  মো. তানভির আহমেদ (অর্থনীতি), প্রজ্ঞা পারমিতা বোস (ইংরেজি), সায়েমা আক্তার (মার্কেটিং), ইমরান হোসেন (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা), পম্পা মজুমদার (বাংলা), ড. মো. জিয়াসমিন খাতুন (প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি),  মো. সোহেল রানা (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), রাশেদ মোশাররেফ (লোক প্রশাসন), টুম্পা সাহা (দর্শন), তাসনিম জেরিন (কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট), ড. ফেরদৌসী জামান তনু (মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান), মো. রাকিবুল ইসলাম (অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস),আবু জিহাদ ( সমাজকর্ম), ফাতেমা তুজ জোহরা (মার্কেটিং), হোসনে আরা ডালিয়া (লোক প্রশাসন), মো. ইমরান হোসাইন (পদার্থবিজ্ঞান), খাদিজা আক্তার (ইংরেজি), মো. সাজেদুল ইসলাম (প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি), সোহেলী জাহান (সিএসই), ইরতেজা হাসান (কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট), তাসনুভা হাবিব জিসান (লোক প্রশাসন), মোমতাহিনা মিতু (কোস্টাল স্টাডিজ এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট), ফারজানা মাহবুব (কোস্টাল স্টাডিজ এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট) ও ড. রেহেনা পারভীন (প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি)।

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকরা বলেন, গত ১৫ জুলাই থেকে দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এবং পরে দেশের সর্বত্র বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজের ওপর হত্যা, নিপীড়ন ও নির্যাতনের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটছে। এযাবৎ অন্তত দুইশতাধিক মৃত্যুর খবর দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে। গুলিতে ও আঘাতে অনেকে ইতোমধ্যে চোখ হারিয়েছেন এবং পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। দেশের ইতিহাসে এমন ছাত্রহত্যা ও ছাত্রনিপীড়নের ঘটনা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ব্যতীত কোনো সময়ে এমনকি কোনো সামরিক সরকারের সময়েও ঘটার নজির নেই।  

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকরা আরও জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়েও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীরা একইরূপ হামলার শিকার হয়েছে। রাষ্ট্রের জনগণের পয়সায় কেনা বন্দুকের বুলেটে এভাবে শিশু, নারী ও ছাত্রজনতার বুক ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়ার ঘটনা আমাদেরকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে। এমন ঘটনার প্রতি ঘৃণায় আমাদের সমগ্র অস্তিত্ব রি রি করছে। এখানেই শেষ নয়। রাজপথে, বাড়ির ছাদে এমনকি নিজ ঘরের জানালায় দাঁড়ানো শিশুকে হত্যার পরে আজ সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে তাদের বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে, মেসে মেসে হানা দিয়ে এবং এমনকি পাবলিক পরিবহনে মোবাইল চেকিং করে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমন নিপীড়নের ব্যাপকতায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ দিশেহারা।

এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে এই সকল নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানান ৩৫ শিক্ষক। পাশাপাশি দাবি তোলেন ভবিষ্যতে এই আন্দোলনে যুক্ত কোনো মানুষকে যেনো আইনের বেড়াজালে বা কোনোভাবে হয়রানি করা না হয়। একইসাথে শিক্ষার্থী হয়রানি ও শিক্ষার্থী নিপীড়ন বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহ খুলে দিয়ে অতিসত্ত্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়। শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজের দাবির সাথেও একাত্মতা ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।