ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর থেকে তারা ঢাকার প্রবেশমূখ দখল করেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরুর পর থেকে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারেও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এ সময় আন্দোলকারীদের ওপর গুলি বন্ধের দাবি জানিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে সরকার চাকরিতে কোটা বাতিল করে। এটি চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা রিট করেন। গত জুন মাসে হাইকোর্ট কোটা বহাল রাখেন।
গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে আন্দোলন বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে চট্টগ্রামে এক ছাত্রদল নেতাসহ তিনজন, ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে ছাত্রলীগ কর্মী ও একজন হকার এবং রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সাঈদ নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। আর ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষিত হয়। ওইদিন সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সংঘাত ২১ জুলাই পর্যন্ত চলতে থাকে। ঘটে শতাধিক প্রাণহানি। বিভিন্ন স্থাপনায় ধংসযজ্ঞ চালানো হয়। এর মধ্যে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ। তারপরও সংঘাত না থামায় কারফিউ জারি করা। মামলা হয়। চলে গ্রেপ্তার ও ব্লক রেইড।
এমন পরিস্থিতে বিচারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৪
ইএস/জেএই