রাজশাহী: কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে এক অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে রাজশাহীতে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিলও অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। অবস্থান কর্মসূচি শেষে দুপুর ২টায় কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১৩-২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত-শিবির রেললাইন উপড়ে ফেলেছিল, বাসে আগুন দিয়েছিল, অসংখ্য মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল এবং এ দেশের অর্থনীতিকে স্থবির করে সরকার পতন করতে চেয়েছিল, আবার সেই একই নাটক আমরা নতুন করে মঞ্চস্থ হতে দেখছি। এবার কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিটি ইতোমধ্যে সরকার মেনে নিয়েছে। আরও কিছু দাবি থাকলেও প্রধানমন্ত্রী তা পূরণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন, গণভবনের দরজা খোলা আছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করতে চান।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি ধ্বংসাত্মক কাজে জামায়াত-শিবিরের হাতিয়ার হয়ে উঠে তাদের দ্বারা নিজেদের কলঙ্কিত করা এটি কোনো ছাত্র-ছাত্রীর কাজ নয়। আমরা অভিভাবক হিসেবে তাদের বাবা-মাকে অনুরোধ করবো, আপনাদের সন্তানদের ঘরে নিয়ে যান। স্কুল-কলেজ খুলবে, স্কুল-কলেজে পাঠাবেন। আন্দোলন করে রাজপথে আগুন জ্বালিয়ে, মানুষকে হয়রানি করে, দেশকে অস্থির করা কখনও শিক্ষার্থীদের কাজ নয়। কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে অহেতুক আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হবেন না।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সব অপতৎপরতার পেছনেই রয়েছে জামায়াত-শিবির। যদি তারা মনে করে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন বিভ্রান্ত করে রাখতে পারবে তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে থাকবে না। তারা ঘরে ফিরে যাবে। যেহেতু তাদের দাবি পূরণ হয়েছে।
এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আপনারা আমাদের ডাকে বারবার রাজপথে এসেছেন। আমরা এভাবেই রাজপথে থাকবো। শান্তিপ্রিয় রাজশাহীকে আমরা অশান্ত হতে দেব না।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, মহানগর শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, মহানগর যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান খান মনির, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি ইসমত আরা, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
এছাড়া কর্মসূচিতে মহানগরীর সব থানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৪
এসএস/আরবি