খুলনা: খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেকের বাসভবনে হামলার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। হামলাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে।
রোববার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে।
এতে উভয়পক্ষের ৩৫ জন আহত হন। আহত ২৫ আন্দোলনকারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ। আহত পুলিশ সদস্যরা জেলা পুলিশ হাসপাতাল চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার মেয়রের বাড়িতে আরেক দফা হামলা চালান আন্দোলনকারীরা। ওই সময় বাড়ির সামনে একটি মোটরসাইকেল ও চেয়ার ভাঙচুর করেন তারা।
এছাড়া খুলনা মহানগরীর শেরে বাংলা সড়কের ‘শেখ বাড়ি’ হিসেবে পরিচিত সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন ও শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ঘটেছে। দুপুরে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ ঘটনা ঘটায়।
এছাড়া বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর লেয়ার যশোর রোডের খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর বিক্ষোভকারীরা জেলা পরিষদে হামলা করেন।
এ সময় জেলা পরিষদের সামনে রাখা একটি টিভি সাংবাদিকের মোটরসাইকেলসহ পাঁচটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে তারা খুলনা প্রেসক্লাবে হামলা করেন।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মহানগর সাধারণ সম্পাদক বাবুল রানা, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহ জালাল সুজন ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মো. আবু হানিফ, জেলা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী রায়হান ফরিদ ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কণিকা সাহা। এদের মধ্যে বাবুল রানা ও শাহজালাল সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা দুজনই খুলনা মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৪
এমআরএম/আরবি