বরিশাল: বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পোড়া বাসভবন থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়ায় প্রথমে মরদেহগুলো শনাক্ত করা যায়নি।
তবে রাত ১০টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা তিনটি মরদেহের মধ্যে দুটি স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন।
এরমধ্যে একটি মরদেহ নগরের নাজির মহল্লা এলাকার কাঞ্চন ফরাজির ছেলে নুর ইসলাম নুরুর (৪৫) বলে জানিয়েছেন তার ছোট ভাই রানা। আর একটি মরদেহ বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি এলাকার মজিবুর রহমান জমাদ্দারের ছেলে মঈন জমাদ্দারের (৪৫) বলে জানিয়েছেন তার চাচা আনোয়ার হোসেন জমাদ্দার।
এছাড়া তৃতীয় মরদেহটি নগরের শীতলাখোলা এলাকার প্রশান্ত নাম এক যুবকের হতে পারে বলে ধারণা করা হলেও শনাক্ত করতে কেউ মর্গে না আসায় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আর এ বিষয়ে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি। তবে মর্গে রাত ১০টার দিকে অবস্থান করা মেডিকেল কলেজের স্টাফ বিজয় বলেন, দুটি মরদেহ স্বজনরা এসে দেখে শনাক্ত করেছেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে, না হলে আমাদের কাছে অজ্ঞাত হিসেবে থাকবে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বরিশাল সদর স্টেশনের ফায়ারম্যান মো. বশির উদ্দিন জানান, দুপুরে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পরে ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মরদেহগুলো শনাক্ত করা সম্ভব না হলে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৩টার দিকে কয়েকশ’ লোক ওই বাড়ির চারপাশে ঘিরে হামলা চালায়। এ সময়ে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময়ে সাদিক আবদুল্লাহ ওই বাড়িতে অবস্থান করছিলেন বলেই অনেকে দাবি করেন। যদিও অগ্নিসংযোগের পর বাড়ি থেকে সাদিক আবদুল্লাহসহ তার অনুসারীরা বাড়ি থেকে বের হতে পেরেছেন বলে নিশ্চিত করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এর আগে তার অনুসারীদের মধ্যে অন্যতম ছাত্রলীগ নেতা আতিকুল্লাহ মুনিমকে মারধর করে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২৪
এমএস/আরবি