ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এখন কী হবে?

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২৪
এখন কী হবে?

ঢাকা: পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর জন মানুষের মনে নানা ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কে হবেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান,কীভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি কীভাবে হবে কারাবন্দিরা কীভাবে মুক্ত হবে?

মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ঢাকার রাজপথে কান পেতে মানুষের মুখ থেকে এসব প্রশ্ন শোনা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েকদিনে রাজধানীর সবচেয়ে অশান্ত পরিস্থিতি ছিল যাত্রাবাড়ীতে। থানার অদূরে কাজলা স্টেশনে এক যাত্রী বলছেন-গতকাল আর টোলপ্লাজায় নতুন করে ভাঙচুর হয়নি। আগের অবস্থায় তারা চেয়ার টেবিল বসিয়ে টোল আদায় করছেন। এখন চারদিকে ক্ষত চিহ্ন।

ততক্ষণে একটি বাস আসায় সবাই হুড়মুড় করে উঠে পড়েন। বাসে নানান আলোচনা করছেন যাত্রীরা। এর মধ্যে বাস ফ্লাইওভারে উঠলে যাত্রাবাড়ী থানা থেকে ধোয়া উড়তে দেখা যায়। উৎসুক যাত্রীরা ব্যক্তিগত পরিবহন থামিয়ে তা দেখছেন। বাস থেকে থানা ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে ভাঙচুরের চিহ্ন দৃশ্যমান। তবে কোনো পুলিশ সদস্য দেখা যায়নি। কয়েকজনকে ছাদে ও বিভিন্ন ফ্লোরে হাঁটাহাঁটি করতে দেখা যায়।

ততক্ষণে বাস যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের সামনে চলে আসে। এক যাত্রী আঙুল দেখিয়ে বলেন, এখানে আর কোনো বাহিনী নেই। তারা স্কুল ছেড়ে দিয়েছে। জবাবে আরেকজন বলেন, গতকালই ত্যাগ করেছেন।

এতসব কথার মধ্যে মধ্যবয়সী একজন বার বার প্রশ্ন করে যাচ্ছেন, আমার ছেলের কি হবে সে তো এখনো জেলে। সে কীভাবে মুক্তি পাবে। রাষ্ট্রপতি তো বলেছেন মুক্তি দেবেন। কিন্তু আদালতে আবেদন করতে হবে নাকি ওনার আদেশে হবে। তখন আরেকজন বলছেন, বের হবে। আরেকটু অপেক্ষা করেন। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন।

এর মধ্যে বাস গুলিস্তানে পৌঁছে যায়। তখন মানুষ নেমে যায়। মাতুয়াইল থেকে আসা এক ব্যক্তি বলেন, দিনটাই অন্য রকম। কী যে ভালো লাগছে। নিশ্বাস নিচ্ছি। মনে হয় যেন কোনো টেনশন নাই।

কিন্তু এতো পথ এসেও রাস্তায় কোনো বাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখিনি। কিছু কিছু দোকানপাট খুলেছে। কেউ খোলার অপেক্ষায় রয়েছেন। কিছু যাত্রীকে দূরপাল্লার বাসের জন্য বিআরটিসি কাউন্টারে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এর মধ্যে হঠাৎ করে বঙ্গবাজার এলাকায় কয়েকজন যুবককে শেখ হাসিনা বিরোধী মিছিল করতে দেখা যায়।

বঙ্গবাজার পেরিয়ে কার্জন হলের সামনে দিয়ে হাইকোর্ট মাজার গেইটে এসে দেখলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে আর কোনো ব্যারিকেড নেই। নেই কোনো ট্র্যাফিক পুলিশ। মানুষ অবাধে চলাফেরা করছেন। সুপ্রিম কোর্টেও প্রবেশ করে আইনজীবীদের মুখে নানা উৎকণ্ঠার কথা শোনা যায়। তবে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী আইনজীবীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। কিন্তু  আওয়ামী লীগ পন্থি কোনো আইনজীবীকে দেখা যায়নি। যদিও আজকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে সীমিত পরিসরে অফিস খোলা রয়েছে।

এক আইনজীবী বলছেন, দেশবাসীকে এখন শান্ত হতে হবে। একজন ক্যারিশম্যাটিক লোকক সরকারের প্রধান বানিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২৪
ইএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।