সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হঠাৎ করে কয়েদিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আকস্মিক উত্তেজনা থামানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কোটা আন্দোলনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ২৩ বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীর জামিন হয়। জামিনপ্রাপ্ত বন্দিরা বের হওয়ার সুযোগে অন্য কারাবন্দিরা বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ফাঁকা গুলি করেন কারারক্ষীরা। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাজনৈতিক মামলার সব আসামিকে মুক্তি দেওয়া হবে খবরের পর জামিনপ্রাপ্ত বন্দিদের আত্মীয়-স্বজনরা বুধবার সকাল থেকেই কারাগারের সামনে ভিড় করেন।
বিকেল ৪টার দিকে রাজনৈতিক ও সম্প্রতি কোটা আন্দোলনে গ্রেপ্তার ২৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে কারা কর্তৃপক্ষ স্বজনদের জানান। কিন্তু এ সময় অন্য বন্দিরা জোর করে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে কারারক্ষীরা বন্দিদের উত্তেজনা প্রশমনে গুলি করেন। এ গুলির শব্দে কারাগারের ভেতর ও বাইরে বন্দিদের স্বজনদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা দ্রত কারাগারে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
জেল সুপার এএসএম কামরুল হুদা জানান, আদালতের আদেশে মঙ্গলবার ১৫১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার ২৩ জনকে মুক্তি দেওয়ার কথা। কিন্তু এ মুক্তি দেওয়ার সময় জামিনপ্রাপ্তদের সঙ্গে অন্য কারাবন্দিরা বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুক্ষণ ফাঁকা গুলি করা হয়। এতে ২ থেকে ৩ জন আহত হয়েছেন। তাদের কারাগারের ভেতরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতিতে জামিনপ্রাপ্ত কাউকেমুক্তি দেওয়া হয়নি। জামিনপ্রাপ্তদের আগামীকাল মুক্তি দেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, জামিন আদেশপ্রাপ্তদের মুক্তির খবরে সাজাপ্রাপ্ত হাজতিরাও সংঘবদ্ধভাবে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় কারারক্ষীরা সেটা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২৪
জেএইচ