ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের সব ‘আয়নাঘর’ ভেঙে গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৪
দেশের সব ‘আয়নাঘর’ ভেঙে গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনার আহ্বান

খুলনা: অবিলম্বে দেশের সব ‘আয়নাঘর’ ভেঙে গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনতে হবে। একই সঙ্গে কথিত আয়নাঘর বা বন্দিশালার সঙ্গে জড়িত মানবাধিকার লঙ্ঘণকারীদের মানবতাবিরোধী অপরাধ আইনে বিচার করতে হবে।

ফ্যাসিবাদের রক্ষক বিদ্যমান সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। বিচার ব্যবস্থা ও নির্বাচন কাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে। ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করে জণগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। গুমের শিকার ব্যক্তিদের মুক্ত করা এবং গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ সব মানবাধিকার লঙ্ঘণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সভাপতিত্ব করেন অধিকার খুলনার ফোকাল পারসন মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুজ্জামান।

বক্তারা আরও বলেন, মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ গত দু’ যুগেরও বেশি সময় ধরে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। যে কারণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিবাদী সরকার অধিকারকে রুখে দিতে সব ধরনের বল প্রয়োগ করে। বিশেষ করে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ম্যাচাকারের পর একমাত্র অধিকারই তথ্য প্রমাণসহ নিহত কয়েকজনের তালিকা প্রকাশ করে। তাতেই সরকার অধিকারের পরিচালক নাসির উদ্দিন এলান এবং সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খানের বিরুদ্ধে মামলা করে দু’ বছরের সাজা দেয়। এভাবে একের পর এক দমন-পীড়ন, গণতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থা দলীয়করণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘণের মাধ্যমে চরম সীমায় পৌঁছায়। যার ফলে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারকে হটিয়ে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় সতর্ক থাকার আহ্বা্নও জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।

কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন নারী নেত্রী রেহানা আখতার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, খুলনা মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (এমউজে) কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, নাগরিক নেতা শেখ আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, ছায়াবৃক্ষের প্রধান নির্বাহী মাহবুব আলম বাদশা, ছাত্রনেতা শহিদুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী ইসমত আরা কাকন, সিটি কলেজের ছাত্র তুষার মাহমুদ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী কেএম জিয়াউস সাদাত।

উপস্থিত ছিলেন বাংলাভিশনের খুলনা বিভাগীয় প্রধান আতিয়ার পারভেজ, অ্যাডভোকেট এটি এম মনিরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ও মানবাধিকার কর্মী মো. শহিদুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক এম এ আজিম, প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম, শিক্ষিকা রোজিনা আক্তার, সাংবাদিক হারুনর রশীদ, মো. আবুল হাসান শেখ, মো. আমিরুল ইসলাম, মিশারুল ইসলাম মনির, মানবাধিকার কর্মী হাফেজ মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান, মুফতি সেফায়েত উল্লাহ, নাদিম হোসেন, রুহুল আমিন, জি এম রাসেল ইসলাম, ফাতেমা রশিদ, আরিফা আশরাফী চুমকি, ব্যবসায়ী মো. কামাল খান, জিএম মঈন উদ্দিন, মো. বাবুল হাওলাদার, মো. আরমান, সাংবাদিক মো. সহিদুর রহমান, হাসানুজ্জামান মনি, সরকারি মডেল কলেজের ছাত্রী তামান্না ইয়াসমিন তিসা, সিটি কলেজের ছাত্রী ফাহমিদা আক্তার তিশা, ইকবাল নগর স্কুলের ছাত্রী নাফিজা হাসান, কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্রী লাবিবা মুক্তাদির, হাজী আব্দুল মালেক কলেজের ছাত্রী নুসরাত জাহান, সিটি কলেজের ছাত্রী পুজা সরকার, পাইওনিয়ার কলেজের আবিদা ইসলাম, বিএন কলেজের ছাত্র মেহেদী হাসান, তাহসিন আহমেদ অমি, সাজিদ আহমেদ, সুন্দরবন কলেজের ছাত্র শাফিন বিন তমিজ, ফাতিন ইসরাক ও সিফাত রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৮ , ২০২৪
এমআরএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।