ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অনতিবিলম্বে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ-হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৪
অনতিবিলম্বে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ-হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার দাবি

বরিশাল: অনতিবিলম্বে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচার, হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও বাস্তুহারাদের জায়গা-জমি ফিরিয়ে দেওয়ার সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বরিশালে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১১ আগস্ট) বিকেল ৩টায় বরিশাল নগরের সদর রোডস্থ অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ ও সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চাভুক্ত সংগঠনসমূহের আয়োজন এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পূজা উদযাপন পরিষদের মহানগর সভাপতি ভানু লাল দে।

এ সময় বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, জেলা সভাপতি মানিক মুখার্জি, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় সদস্য সুরঞ্জিত দত্ত লিটু, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট হিরণ কুমার দাস মিঠু, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত দাস প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বরিশালের বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের নানা জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতন চালানো হচ্ছে। মন্দিরসহ বসতবাড়িতে ভাঙচুর করা হচ্ছে। সম্পদ লুট করা হচ্ছে। আর প্রশাসন এ অবধি কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় লুটপাট, হামলার ঘটনা বেড়েই চলছে।

বক্তারা বলেন, প্রয়োজনের সময় কিংবা দেশের স্বার্থে অন্য সবার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা সমান তালে এগিয়ে যাই। তখন আমরা বাংলাদেশর নাগরিক হলেও এখন আমরা সংখ্যালঘু, তাই আমাদের ওপর নির্যাতনের খড়্গ নেমে এসেছে। বরিশালের বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নারীদেরসহ সংখ্যালঘু নির্যাতন করা হচ্ছে। সেখানকার ফরিদপুর ইউনিয়নে বিপুল চন্দ্র ও বিনয় দাসের বাড়িতে হামলার পাশাপাশি লুটপাট চালানো হয়েছে। প্রায় সপ্তাহ পার হতে বসলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কোনো খোঁজ নেওয়া হয়নি, এখনও তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বোয়ালিয়াতে এক হিন্দু পরিবারের পুকুরের মাছ লুট করা হয়েছে, মন্দিরে হামলা চালিয়ে টিন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরকম আরও অনেক ঘটনা রয়েছে। কিন্তু স্বাধীন দেশে বার বার এই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি আমরা আর দেখতে চাই না। আমরা অনতিবিলম্বে সকল হামলার বিচার ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

তারা আরও বলেন, আজ আমাদের অজানা আতঙ্কে বসতবাড়ি, এলাকার নিরাপত্তায় রাতভর পাহারা দিতে হচ্ছে। এই আতঙ্ক থেকে মুক্তি চাই এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে চাই।

বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ দুপুরের পর থোক মিছিল নিয়ে নগরের সদর রোডে জড়ো হতে থাকে। এ সময় তারা বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুনে নানা প্রতিবাদের কথা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৪
এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।