ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সময় টিভি কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৪
সময় টিভি কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ঢাকা: সময় টিভির এমডি ও সিইও আহমেদ জোবায়েরের পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীসহ সময়ের সাবেক ও বর্তমান সাংবাদিকরা।  

গণহত্যার উসকানিদাতা ও স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় টেলিভিশনটির সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ আল্টিমেটাম দেন তারা।

মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মী অংশ নেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীরা বলেন, পতনের আগে দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড চালায় স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। এসব হত্যাকাণ্ডের নীরব সমর্থন দেয় বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভি। এতে ক্ষোভ দানা বাঁধে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে। শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র হত্যার সংবাদ প্রচার না করে উল্টো পুলিশকে ছাত্রদের বুকে গুলি চালাতে উস্কে দেয় এ টিভির দালাল সাংবাদিকরা। যার ভিডিও প্রকাশ হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা মহিউদ্দিন রনি বলেন, ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। অথচ স্বৈরাচারের দোসররা রয়ে গেছে কিছু কিছু জায়গায়। আজ আমরা এসেছি সময় টেলিভিশনে। সময় টিভির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা গণহত্যায় উস্কে দেওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ভাগনে আহমেদ জোবায়েরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।  

রনি বলেন, ছাত্রদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক সংবাদ প্রচার করে দেশের পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো হয়। এছাড়া ছাত্র জনতা হত্যায় মিথ্যা সংবাদ করে পুলিশকে উস্কে দেওয়া হয়। ফলে গণহত্যায় সরাসরি দায়ী এ আহমেদ জোবায়েরসহ টেলিভিশনটির কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহমেদ জোবায়েরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।  

এ সময় আহমেদ জোবায়েরের পক্ষে মানববন্ধনে বাধা দেন সিনিয়র রিপোর্টার আতাউর কাউসারসহ কয়েকজন কর্মী। পরে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পিছু হটেন তারা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাংবাদিকরা জানান, আওয়ামী লীগের পক্ষে মিথ্যা সংবাদে রাজি না হওয়ায় বিগত সময়ে বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মীর উপর অন্যায় করেছেন আহমেদ জোবায়ের, খান মোহাম্মদ রুমেল, লোপা আহমেদসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। অযাচিত চাপ প্রয়োগ করে বহু সংবাদকর্মীকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করেন তারা। তাদের এমন সাংবাদিকতার কারণে সারাদেশের মানুষ এখন সাংবাদিকদের গালি দেয়। সবাই দালাল বলে। তাই সাংবাদিকরা দালালের তকমা থেকে মুক্তি পেতে এখানে দাঁড়িয়েছে।

এ সময় সকল গণমাধ্যমে সত্য ও মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করারও দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।