ঢাকা: খাদ্য অধিদপ্তরাধীন বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদমর্যাদা, বেতন স্কেল, পদোন্নতি এবং দলীয় বিবেচনায় পদায়নের বৈষম্যসহ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বৈষম্য, অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী খাদ্য অধিদপ্তরের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের পক্ষ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা শেষে দেওয়া স্মারকলিপিতে বিগত স্বৈরশাসকের ১৬ বছরে সৃষ্ট বিভিন্ন বৈষম্য তুলে ধরা হয়।
স্মারকলিপিতে উত্থাপিত ৯ দফা দাবি হলো:
১। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদটি খাদ্য ক্যাডারে ক্যাডারভুক্তকরণ, খাদ্য পরিদর্শক ও সাইলো সুপারভাইজারদের প্রথম গ্রেড এবং অন্যান্য পদের বেতন গ্রেড উন্নীতকরণ।
২। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন এবং অতিরিক্ত পরিচালক ও উপ-পরিচালক পদের আপগ্রেডেশন।
৩। বদলি নীতিমালা সংশোধন ও দলীয় বিবেচনায় নীতিমালা বহির্ভূত বদলি বাতিলকরণ।
৪। নিয়োগবিধি সংশোধনপূর্বক আউটসোসিংয়ের পরিবর্তে সরাসরি নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোটা এবং ফিডার পদের চাকরিকালের বৈষম্য নিরসন।
৫। খাদ্য অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য স্বল্পমূল্যে রেশন বরাদ্দ।
৬। প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসন এবং সঞ্জীবনি প্রক্ষিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ।
৭। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি বন্ধকরণ এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া তেজগাঁও সিএসডির জায়গা খাদ্য বিভাগকে ফেরত প্রদান।
৮। সাবেক মন্ত্রীর গম কেলেংকারির তদন্ত এবং অপ্রয়োজনীয় জিটুজির পরিবর্তে প্রতিযোগিতামূলক দরে খাদ্যশস্য ক্রয়।
৯। পুষ্টি চালের মিশ্রণ ও পরিবহনের নামে কোটি কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় বন্ধকরণ।
প্রতিবাদ সভায় সাবেক মন্ত্রী ও তার আত্মীয়স্বজনের বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় দলীয় বিবেচনায় নীতিমালা বর্হিভূত যে সকল পদায়ন আদেশ করা হয়েছে, তা বাতিল করে তদস্থলে যোগ্য, দক্ষ ও বঞ্চিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদায়নের দাবি করা হয়।
সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে খাদ্য ক্যাডার থেকে পদায়নের দাবি জানানো হয়। উপজেলা পর্যায়ের প্রায় সকল দপ্তরের অধিকাংশ পদই ক্যাডারভুক্ত হলেও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদটি নন-ক্যাডার।
পুলিশ পরিদর্শকরা প্রথম গ্রেডের হলেও খাদ্য পরিদর্শকরা ১০ম গ্রেডের। আদালতের রায়ে প্রধান সহকারী/সমমান পদের ১১৮ জনকে ১০ম গ্রেড প্রদান করা হয়। ওই পদের অবশিষ্ট পদধারীদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে। উপ-খাদ্য পরিদর্শকদের ১০ম গ্রেডসহ অন্যান্য স্তরের কর্মচারীদের বেতনস্কেল আপগ্রেড করা প্রয়োজন। এছাড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের শূন্য পদগুলো দ্রুত পদোন্নতি/চলতি দায়িত্বের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৪
আরকেআর/এমজেএফ