ফেনী: স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কবলিত ফেনীর উত্তরের তিন উপজেলা ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া।
তলিয়ে আছে রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বসতি।
রাস্তাঘাট থেকে ঘরবসতি কিছুই রেহায় পায়নি বানের পানি থেকে। গত তিন দিনের ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়।
সরেজিমন দেখা যায় ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, আনন্দপুর, মুন্সীরহাট, আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পরশুরামের মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ এবং পৌরশহর সহ ৪৫টির বেশি গ্রাম পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
ছাগলনাইয়ার পাঠান নগর, রাধানগর, শুভপুর ইউনিয়নেরও বেশ কয়েকটি গ্রাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। এসব এলাকায় তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, পুকুর ও ফসলি জমি। কিছু কিছু এলাকায় মানুষের ঘরের ছাদ ও টিনের চালেও ছুঁয়েছে বানের পানি। আশ্রয় খুঁজছে স্থানীয়রা।
এদিকে বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্চাসেবী সংগঠন। ইতোমধ্যে দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী ও বিজিবি স্পিড বোট ও নৌকা নিয়ে মাঠে নেমেছে। বানের পানিতে এখন পর্যন্ত ১ জন নিহত ও ১ জন নিখোঁজ রয়েছে।
গেল মাসের শুরুতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর ১৫ স্থানে ভাঙে। সেসব স্থানে জোড়াতালির মেরামতের পর চলতি মাসের শুরুতে বাঁধের আরো ১২ স্থানে ভেঙে গিয়ে প্লাবিত হয় ১০০ টির বেশি গ্রাম। যেখানে অবকাঠামো, ধান, ফসল ও মৎসে ক্ষতি ছাড়িয়ে যায় ৩০ কোটির বেশি।
সেই ক্ষতি না পুষাতেই ১৫ দিনের মাথায় আবার বন্যা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার বাসিন্দারা। এবারের বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ কয়েশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ দফা ও আগের দুই দফা মিলিয়ে বন্যায় বাধের ২৭ টি স্থানে ভাঙন দেয়া দিয়েছে। এই সব দিয়ে ভাঙন ডুকছে পানি।
ফেনী জেলা প্রশাসক সেলিনা আক্তার বলেন, বন্যা কবলিতদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি কাজ করছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনও মাঠে আছে। ইতোমধ্যে ২ হাজারের বেশি পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা,আগস্ট ২১, ২০২৪
এসএইচডি/এমএম