ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সালথায় ইমামকে চাকরিচ্যুত: ছাত্রলীগ নেতাসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৪
সালথায় ইমামকে চাকরিচ্যুত: ছাত্রলীগ নেতাসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি

ফরিদপুর: জেলার সালথায় জুমার নামাজের বয়ানে আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন নিয়ে কথা বলার কারণে হাফেজ মাওলানা মুজাহিদুল হক (৩৫) নামে এক ইমামের চাকরি যাওয়ার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নাজমুল হোসেন নামে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাসহ সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সালথা উপজেলার তাওহিদি জনতা ও ওলামা মাশায়েখের ব্যানারে সালথা বাইপাস সড়কে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

নাজমুল সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে সালথা মডেল মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজত ইসলাম, বাংলাদেশ যুব মজলিশ, সাধারণ ছাত্র জনতাসহ অন্যান্য ইসলামি সমমনা সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিতদের মধ্যে সালথা মডেল মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলাম বলেন, জুমার নামাজের বয়ানে আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন নিয়ে কথা বলায় মাওলানা মুজাহিদুল হককে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া ঘটনার নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নাজমুল মাতুব্বরসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করছি।  

বিস্তারিত জানতে অভিযুক্ত নাজমুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইলফোন নম্বর বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি নেওয়া হবে।  

গত ০৯ আগস্ট উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরাটিয়া গ্রামের মধ্যপাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজের বয়ানে আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন নিয়ে কথা বলার কারণে হাফেজ মাওলানা মুজাহিদুল হক (৩৫) নামে এক ইমামের চাকরি যায়। ইমামের চাকরিচ্যুতের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা হয় এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিষয়টি নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়। পরে গত ২২ আগস্ট আসরের পর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম বসে সমাধান করে ওই ইমামকে চাকরিতে পুনর্বহাল করেন। সন্ধ্যায় ফেরার পথে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে একজন সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে মাঝারদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আফছার মাতুব্বরের ছেলে ও ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি স্বপন মাতুব্বরের ভাই ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে।

** খুতবায় আ.লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন নিয়ে বয়ান, চাকরি গেল ইমামের

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।