ঢাকা, রবিবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নড়াইলে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে চার বছরের শিশুকে হত্যার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
নড়াইলে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে চার বছরের শিশুকে হত্যার অভিযোগ

নড়াইল: নড়াইল সদরে প্রতিহিংসার কারণে সৎ মা রহিমা চার বছরের শিশু রাশেদুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।  

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে তাদের বাড়ির পাশের ডোবা থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজন ও এলাকাবাসী এ বর্বরতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।  

অভিযুক্ত সৎ মাসহ দুইজনকে পুলিশ আটক করেছে। নিহত রাশেদুল ওই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।

পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, স্বামী আব্দুর রহিমের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় শিশুসন্তান রাশেদুলকে ফেলে তার মা ফারিয়া আড়াই বছর আগে চলে যান। পরে অন্যত্র বিয়ে করে ঘর বাঁধেন। শিশু রাশেদুল তার দাদা দাদির আশ্রয়ে পালিত হতে থাকে।

পরে রহিমাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন আব্দুর রহিম। রহিমের সংসারে আসার পর থেকেই তিনি রাশেদুলকে পছন্দ করতেন না।  একপর্যায়ে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাশেদুল নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গভীর রাতে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই সবার সন্দেহ রাশেদুলের সৎ মা রহিমার ওপর গিয়ে পড়ে।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে রাশেদুলকে হত্যার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও একপর্যায়ে প্রতিহিংসার বশে তার জা রুমার সহযোগিতায় রাশেদুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন রহিমা। স্বীকারোক্তির পরেই তাকে আটকে রেখে পুলিশে দেয় নিহত রাশেদুলের পরিবার ও এলাকার লোকজন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে রাশেদুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রাশেদুলের গলায় নখের আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে, রহিমা তার জা রুমার সহযোগিতায় রাশেদুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।