ঢাকা, শনিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এসডিজি বাস্তবায়নের ধীর গতি আশাহত করছে প্রান্তিক মানুষকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
এসডিজি বাস্তবায়নের ধীর গতি আশাহত করছে প্রান্তিক মানুষকে

ঢাকা: ক্রমবধর্মান অর্থনৈতিক বৈষম্য উদ্বেগজনক পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে প্রান্তিক গোষ্ঠী সুযোগ ও সম্পদে অভিগম্যতা পেতে জীবন সংগ্রামে নিয়োজিত।

যাদের জীবন ও জীবিকা প্রতিদিন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট, বৈশ্বিক সংঘাত-যুদ্ধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাসে অর্জিত অগ্রগতি ঝুঁকিতে আছে। যার প্রভাব গ্রাম থেকে শহরের পড়ছে। দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। যা ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে বিরাট বাধা।

জীবিকা হারানো, জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ-সংঘাত, নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত হওয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিরাট ব্যবধান বাদ পড়া জনগোষ্ঠীকে আরও প্রান্তের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দারিদ্র্য ও অসমতা নিরসন এবং সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা জোরদারকরণ’ শীর্ষক জাতীয় জনসম্মিলনে এ তথ্য জানানো হয়। গ্লোবাল কল টু অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট পোভার্টির (জিক্যাপ) সহায়তায় এসডিজি অ্যাকশন অ্যালায়েন্স ও নোয়াখালী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এনআরডিএস) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আবদুল মান্নান আকন্দ জনসম্মিলনের আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন।

এনআরডিএসের নির্বাহী পরিচালক আবদুল আউয়াল বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের ধীর গতি আশাহত করছে প্রান্তিক মানুষকে। বিগত বছরগুলোয় করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানান বৈশ্বিক সংকট এসডিজির অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এসডিজি অর্জনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার কঠিন পথযাত্রায় নতুন কৌশল ও সমন্বিত কর্মপ্রচেষ্টা জোরদার করা দরকার। অর্থনৈতিক সংকট ও জলবায়ু সংকটে বাড়ছে বৈষম্য, বাড়ছে দারিদ্র্য, বাড়ছে বাস্তুচ্যুত পরিবেশ শরণার্থীর বিপদাপন্নতা। বিপদাপন্ন মানুষের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না, যদি সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর না হয়।

এনআরডিএসের নির্বাহী পরিচালক আবদুল আউয়ালের সঞ্চালনায় জনসম্মিলনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রাসিনের নির্বাহী পরিচালক আসমা আক্তার মুক্তার সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য দেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী, সেভ দা চিলড্রেনের অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার সামিয়া আহমেদ, স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম, এডাবের পরিচালক এ কে এম জসীম উদ্দিন, বিএনকেএসের পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রীর সভাপতি মুনির হোসেন, বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতির সভাপতি জায়েদ ইকবাল খান, রুলফাওয়ের নির্বাহী পরিচালক আবজাল হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
এমএমআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।