ঢাকা, বুধবার, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কমিউনিটি সেন্টার-ক্লাবের সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি বাবুর্চিদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
কমিউনিটি সেন্টার-ক্লাবের সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি বাবুর্চিদের

ঢাকা: এবার নিজেদের দাবি নিয়ে রাজধানীর রাস্তায় নেমেছেন বাবুর্চিরা। তারা চান দেশের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টার-ক্লাবে গুটি কয়েক বাবুর্চিদের সিন্ডিকেট ভেঙে যাক।

সব বাবুর্চির জন্য উন্মুক্ত হোক কাজের পরিবেশ।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বাবুর্চি ঐক্য পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবিসহ মোট ৫ দফা ঘোষণা করা হয়।

বাবুর্চিদের দাবিগুলো হলো- ঢাকা শহরে সরকারি-বেসরকারি যত কমিউনিটি সেন্টার/হল/ক্লাবে বাবুর্চিদের সিন্ডিকেট আছে তা ভেঙে সব বাবুর্চিদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে; যারা অবৈধ টাকার জোরে সিন্ডিকেট তৈরি করে- তারা প্রকৃত পক্ষে বাবুর্চি না, তাদের ওই টাকার উৎস কী? প্রকৃত বাবুর্চিরা ৪০/৫০ বছর কাজ করে ১০ লাখ টাকা জোগাড় করতে পারে না। অথচ সিন্ডিকেটকারীরা কোটি কোটি টাকা কোথায় পেল, তার উৎস তদন্ত করতে হবে;

এই সিন্ডিকেট ভোক্তাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ফায়দা লুটেছে। ভোক্তাদের স্বাধীনতা দিতে হবে যাতে তারা পছন্দ মত বাবুর্চি নিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। নামে বেনামে অবৈধ ক্যাটারিং ব্যবসায়ী সরকারি কমিউনিটি সেন্টার/হল/ক্লাবের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের যোগসূত্রে এ সব কাজ করে প্রকৃত বাবুর্চিদের পেটে লাথি মারছে। এই সকল অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে; প্রকৃত বাবুর্চি ও তাদের পরিবারবর্গ কাজ না পেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন অতিবাহিত করছে। সব কমিউনিটি সেন্টার, হল ও ক্লাবের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে তাদের সাধারণ জীবন যাপনের সুযোগ করে দিতে হবে;

সর্বশেষ প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশ বাবুর্চি ঐক্য পরিষদের প্রায় ৫০/৬০ হাজার বাবুর্চি কর্মকর্তা/কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গসহ এই শিল্প রক্ষার্থে সিন্ডিকেট ভেঙে সব সরকারি/বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টার/হল/ক্লাব/কনভেনশন সেন্টারকে উন্মুক্ত করে দিতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা দেশের সব সরকারি বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টার, হল, ক্লাবে উন্মুক্তভাবে কাজ করতে চাই। এখানে কোনো সিন্ডিকেট থাকা চলবে না। আমরা কোনো সিন্ডিকেট মানবো না। সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে সবার জন্য কাজের সুযোগ করতে হবে। বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার বা হলে নির্দিষ্ট বাবুর্চি দিয়ে কাজ করানো হয়। সেখানে অন্য কেউ কাজ করতে গেলে টাকা দেওয়া লাগে। আমরা এসব মানবো না।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বাবুর্চি ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোতালেব বাবুর্চি, সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব বাবুর্চি, ক্যাশিয়ার মো. আলমগীর বাবুর্চি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।