ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচনের সময় ঘোষণার এখতিয়ার প্রধান উপদেষ্টার: আসিফ নজরুল

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৪
নির্বাচনের সময় ঘোষণার এখতিয়ার প্রধান উপদেষ্টার: আসিফ নজরুল ড. আসিফ নজরুল

ঢাকা: জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সময় নিয়ে সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

‘২০২৫ সালে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হতে পারে’ বলে দেওয়া ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার এখতিয়ার কেবল প্রধান উপদেষ্টার।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সম্প্রতি একটি টিভি আলোচনায় আমি বলেছি, নির্বাচন হয়তো আগামী বছরের মধ্যে সম্ভব হতে পারে, তবে এক্ষেত্রে অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে। সেখানে এসব ফ্যাক্টর পুরোপুরি ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু আমাদের সরকারের কথা থেকে সবাই বুঝবেন যে নির্বাচনের জন্য সংস্কার ও রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলা হয়। এগুলোই সেই ফ্যাক্টর। ’

পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের কথা আমিও অনুষ্ঠানে বলেছি। আরও কিছু ফ্যাক্টর আমি অনুষ্ঠানটিতে ব্যাখ্যা করেছি, যেমন: সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ইত্যাদি। এসব ফ্যাক্টর ঠিক থাকলে নির্বাচন হয়তো হতে পারে আগামী বছর। বলেছি এটাও আমার প্রাথমিক অনুমান। এই শর্তভিত্তিক ধারণা ও অনুমানকে কিছু গণমাধ্যম নির্বাচনের ঘোষণা হিসেবে দেখাচ্ছেন। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, এটা সঠিক নয়। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলিসি ডিসিশন। এর সময় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঠিক হবে। তিনিই একমাত্র এটা ঘোষণার এখতিয়ার রাখেন। ’

গত জুলাইয়ের শুরুর দিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। তখন তা দমনে প্রথমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে মাঠে নামানো হয়। এরপর শেখ হাসিনার সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করে। এ কারণে ওই আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঘটে।

এই অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তার সরকারের অনেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। কেউ কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন।

সেই আন্দোলনে সরকারের হিসাব মতে, অনেক শিশু-কিশোরসহ ৭৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির তথ্য মতে, আন্দোলনে শহীদের সংখ্যা এক হাজার ৪২৩ জনের বেশি।  

এছাড়া সরকারের হিসাবে, আহত হয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ৪০০ জন চোখ হারিয়েছেন। দুই চোখ হারিয়েছেন ২০০ জন।

হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের পর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করে ভোটে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে বলে জানিয়ে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।