খুলনা: বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে খুলনাসহ এর উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আঘাতের পাঁচ মাস না যেতেই ফের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে। বিশেষ করে কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটার কয়েক লাখ মানুষ। তাদের আশঙ্কা ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আঘাত হানলে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে আবারও এলাকা প্লাবিত হবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে নদ-নদীর জোয়ারের পানি বেড়ে ভেঙে যেতে পারে দুর্বল বেড়িবাঁধ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় খুলনায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার। এসব শেল্টারে তিন লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবককে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার ও ওষুধ। স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বুধবার দুপুরের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হবে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজন আশ্রয় নিতে পারেন। এসব শেল্টারে মোট তিন লাখ ১৫ হাজার ১৮০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া তিনটি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ মানুষ আশ্রয় ও ৫৬০টি গবাদিপশু রাখা যাবে।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
এমআরএম/আরআইএস