ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় কারাগারে মারামারি, বাজানো হয় পাগলা ঘণ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
খুলনায় কারাগারে মারামারি, বাজানো হয় পাগলা ঘণ্টা

খুলনা: খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি ও কয়েদির মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলের দিকে স্বজনদের সাথে স্বাক্ষাতকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় জেলখানার পাগলাঘণ্টা বাজানো হলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কারাগারের বাইরের পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়।

খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এখন কারাগারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বাজনদের সাথে সাক্ষাতকে কেন্দ্র করে স্বাক্ষাত কক্ষে হাজতি হোসেন মুন্সি জেলখানার কয়েদি সেলিমকে (রাইটার) মারপিট করে। এসময় হাজতি ও কয়েদিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেলিম তার ওয়ার্ডে গিয়ে পরিচিত কয়েদিদেরকে নিয়ে হোসেনকে খুঁজতে থাকেন। এনিয়ে জেলের ভিতরেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে জেলার আবু সায়েম বিষয়টি জানতে পেরে জেলের ভিতরে গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে দেন।

পরবর্তীতে পুনরায় আবারও একই আসামিরা একই কায়দায় ডাক-চিৎকার শুরু করে উশৃঙ্খল আচরণ করতে থাকেন। এমনকি কর্তব্যরত কারারক্ষীদের জেলখানা থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কিছু অতিরিক্ত কারারক্ষী ভিতর প্রবেশ করলে আসামিরা তাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন এবং তাদেরকেও বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন।

পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় খুলনা জেলা কারাগরের মধ্যে এলার্ম বাজানো হয়। একই সময়ে কারারক্ষীগণ তাৎক্ষণিক আসামিদের তাদের সেলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

এলাকাবাসী এবং আশপাশে থাকা হাজতি কয়েদিদের আত্নীয়স্বজনগণ জানান, কারাগারের ভিতরের পরিস্থিতি বাইরেও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে কারাকর্তৃপক্ষ বিষয়টি টহলরত সেনাবাহিনীকে অবহিত করলে সেনাবাহিনীর দুইটি গাড়ি এসে অবস্থান নেয়। এতে আশপাশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।

সেনাবাহিনী আসার পর জেলার আবু সায়েম অতিরিক্ত কারারক্ষী নিয়ে জেলখানার ভেতরে প্রবেশ করেন। তিনি আসামিদের নিজ নিজ সেলে প্রবেশ করান।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
এমআরএম/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।