ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেসক্লাবের সামনে ব্যাটারি রিকশাচালকদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
প্রেসক্লাবের সামনে ব্যাটারি রিকশাচালকদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ প্রেসক্লাবের সামনে ব্যাটারি রিকশাচালকদের গণঅবস্থান। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহার করাসহ বিভিন্ন দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চালকরা। কয়েক হাজার ব্যাটারি রিকশাচালকদের এ অবস্থানের কারণে পল্টন থেকে কদম ফোয়ারা মোড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ‘রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নে’র ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়কে গণঅবস্থান নেন ব্যাটারি রিকশাচালকরা।

তারা সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর, সেকশন, হাজারীবাগসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে আসেন। এরপর তারা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তাদের দাবি হলো- দেশের সড়ক উপযোগী নকশায় আধুনিকায়নসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের বিআরটিএ লাইসেন্স ও যৌক্তিক রুট পারমিট দিতে হবে; চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করতে হবে; ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচলে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে; শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সড়ক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা কমিটি গঠন করতে হবে; সড়কের লেন পদ্ধতি সচল ও সার্ভিস লেন নির্মাণ করতে হবে; আন্দোলনে আটক ও গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে; ব্যাটারিচালিত যানবাহনকে গণপরিবহন ও শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে; জব্দ করা সব ব্যাটারিচালিত যানবাহন ও ব্যাটারি মালিকের কাছে হস্তান্তর ও নিলামকৃত ব্যাটারির মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে; চার্জিং স্টেশন নির্মাণ করতে হবে; মানবিক বিবেচনায় ব্যাটারিচালিত যানবাহনের পুঁজিকে নিরাপদ করে পর্যায়ক্রমে প্যাডেলচালিত বাহনের শ্রম থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে এবং শ্রমিকদের ওপর সব জুলুম-নির্যাতন-চাঁদাবাজি-হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

গণঅবস্থানে বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে সৃষ্ট যানজটের দায় নগর পরিকল্পনাকারীদের না দিয়ে সব সময় গরিব-মেহনতি মানুষের ঘাড়ে চাপানো হয়। একটি আদর্শ নগরে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হয়, কিন্তু ঢাকা মহানগরীতে আছে মাত্র আট শতাংশ। যার ৭৫ শতাংশই দখল করে আছে ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ির। ফলে নগরীর যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও ব্যক্তিগত গাড়ি। সরকার যানজট নিরসনে পরিকল্পিত নগরায়ণ ও ব্যক্তিগত গাড়ি অনুৎসাহিত না করে উপরন্তু গরিবের বাহন বন্ধের মধ্য দিয়ে জনগণের আইওয়াশ করছে, যা সমস্যার সমাধান না করে আরও নতুন নতুন সমস্যার জন্ম দিয়ে চলেছে।

দুপুর ১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অটোরিকশা চালকদের গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
এসসি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।