নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে গণ-অভ্যুত্থানের পরে দেয়ালে দেয়ালে শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতি মুছে ফেলা হচ্ছে। গ্রাফিতি মুছে সেখানে কোচিং ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন বসানো হচ্ছে।
এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সৈয়দপুর কঠোর পদক্ষেপের সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।
বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরের শহীদ ক্যাপ্টেন মীঢ়ধা সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেয়ালে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকেন। এসময় সবার নজরে আসে তাদের দৃষ্টিনন্দন কর্মকাণ্ড। তারা কেউ পেশাদার শিল্পী না হয়েও মনের অভিব্যক্তি প্রচার করে তুলির আঁচড়ে এঁকেছেন এই গ্রাফিতি।
তারা নিজেরাই অর্থ জোগাড় করে রং ও আঁকার সরঞ্জাম কিনে মেতে ওঠেন দেয়াল পরিষ্কার করে গ্রাফিতি লেখাসহ নানা পঙ্ক্তি লেখার কাজে। এসব গ্রাফিতিতে অভ্যুত্থানে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের প্রতিকৃতি ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধার পাশাপাশি উঠে এসেছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি, সমাজের-রাষ্ট্রের সংস্কার, ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করা, স্বৈরতন্ত্রের অবসান, বাক্স্বাধীনতা, সম-অধিকার থেকে শুরু করে সব রকমের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আর প্রতিরোধের অগ্নিময় উক্তি। এসেছে বহু কালজয়ী গান ও কবিতার পঙক্তি।
একশ্রেণির লোকজন বিশেষ করে কোচিং সেন্টার ও পণ্য প্রচার প্রতিষ্ঠানগুলো এসব গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। শহরের শহীদ মীঢ়ধা সড়ক যেটি বিমানবন্দর সড়ক বলে পরিচিত। সেই সড়কের দেয়ালের গ্রাফিতি কৌশলে মুছে ফেলে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, ইদানিং কিছু কোচিং সেন্টার তাদের বাণিজ্যিক কারণে আমাদের জুলাই স্মৃতির গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন। আপনাদের শেষবারের মতো সাবধান করে দিতে চাই, এর পর যদি গ্রাফিতিতে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সৈয়দপুর কঠোর পদক্ষেপ এবং প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
আরএ