ঢাকা: ‘মোখলেস উর রহমান টার্গেট ছিল না, তাদের টার্গেট ছিল জনপ্রশাসন সচিব। তাদের আরও টার্গেট ছিল, এই পদটাকে যদি ভালনারেবল করা যায়, তবে সরকারের একটা করে স্টাম্প পড়ে যাবে।
দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের মুখে পড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এসব কথা বলেন। বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে রোববার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
সরকার পরিবর্তনে জনপ্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়ার পর এ সচিবের বিরুদ্ধে ‘তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন!’ এবং ‘আমার ফাইভ সি হলেই চলবে স্যার, ১০ সি নিয়ে রাখব’- শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক।
তদন্ত নিয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র এ সচিব বলেন, ভালোবাসা দিয়ে বিশ্ব জয় করা যায়। আমি এটাকে পজিটিভলি নিয়েছি। যে পত্রিকা বা মিডিয়া প্রচার করেছে, হয়তো তারা না বুঝে বা ভুল বুঝে করেছে, এখন তারা রিয়েলাইজ করে, ইট ওয়াজ রং। এর বেশি আমি বলব না।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত, এর জন্য আমাকে তিনজন হাই-পাওয়ার উপদেষ্টার তদন্ত ফেস করতে হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল। অন্যান্য সংস্থা তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছিল। তা প্রসেসড হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়েছে। এখানে কমেন্ট হলো- (পত্রিকায়) ভুয়া, বানোয়াট, মিথ্যা রিপোর্ট করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, এখানে আরেকটু যোগ করি। মোখলেস উর রহমান তাদের টার্গেট ছিল না, তাদের টার্গেট ছিল জনপ্রশাসন সচিব। তাদের আরও টার্গেট ছিল। ন্যাশনাল অথবা ইন্টারন্যাশনালি, হোয়াটএভার ইট ইজ- যদি পদটাকে ভালনারেবল করা যায়, তবে সরকারের একটা একটা করে, যদি ক্রিকেটের ভাষায় বলি- স্টাম্প পড়ে যাবে। দ্যাট ওয়াজ দ্য পালস।
তিনি বলেন, আলটিমেটলি যেহেতু সারা জীবন একইভাবে জীবন যাপন করেছি, এখনও করি, আমি পজিটিভ লোক। আমি যেহেতু জনপ্রশাসনের সচিব, এই মিনিস্ট্রিকে অন্য সব মিনিস্ট্রির অভিভাবক বলা হয়, আমার মাধ্যমে কোনো কিছু নেগেটিভ অথবা আমার মাধ্যমে কোনো কিছু পাওয়া না হোক, এটা ঘটবে না ইনশাল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
এমআইএইচ/আরএইচ