বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কে সম্প্রতি যে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে নিজেরাই তার সমাধান করুক। এমনটাই চায় যুক্তরাষ্ট্র।
দুদেশের বিদ্যমান সম্পর্কের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথু মিলারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এ ব্রিফিং হয়। খবর বিবিসির।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কে উত্তেজনার আবহ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারত দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশ সফর করে গেছেন সম্প্রতি। সফরকালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ইতিবাচক অগ্রগতির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমরা চাই সবপক্ষ একসঙ্গে বসে তাদের মধ্যেকার মতভেদের সমাধান করুক। ’
হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দেয়। গত নভেম্বরের শেষ দিকে ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার হলে এ সম্পর্কে আরও অবনতি হয়।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিন্ময় ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে বসে। যার প্রতিবাদে বিষয়টিকে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল’ বলে জবাব দেয় বাংলাদেশ।
অন্যদিকে চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতে একাধিক মিছিল-সমাবেশ, কুশপুতুল দাহসহ নানা ধরনের বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। এরই রেশ ধরে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর ও পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এরও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। ভারতের পক্ষ থেকে আগরতলার ঘটনার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা অভিযোগ তুলতে থাকে, হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চলছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকার বলে আসছে, ভারতীয় মিডিয়া বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করে এবং অনেকক্ষেত্রে ভুল সংবাদ ও অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
এইচএ/