ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট, পেলেন লাল গালিচা সংবর্ধনা

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪
ঢাকায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট, পেলেন লাল গালিচা সংবর্ধনা

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা চার দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন । শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায়  সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হোর্তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বিমানবন্দরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।

রামোস-হোর্তাজে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়, সফরকালে তিনি এখানেই থাকবেন। ১৪ থেকে ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় অবস্থানকালে তিমুর-লেস্তের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে থাকবেন।

পুর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে একাধিক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক ও ইভেন্টে অংশ নেবেন। সফরের দ্বিতীয় দিন ১৫ ডিসেম্বর সকালে তিনি পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

পরে রামোস-হোর্তা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সময়সূচি অনুযায়ী বৈঠকের পরে একটি যৌথ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় দুই দেশ ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি এবং ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিকেলে রামোস-হোর্তা বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের অনারারি কনসাল কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে দেখা করবেন।

তৃতীয় দিন, ১৬ ডিসেম্বর, তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধও পরিদর্শন করবেন।

রামোস-হোর্তা ৫৪তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

সফরের শেষ দিনে ১৭ ডিসেম্বর তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড র্স্ট্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‌‘সমসাময়িক বিশ্বে শান্তির চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে বক্তৃতা দেবেন।

তিনি বাংলাদেশি ছাত্র ও তরুণ নেতাদের সাথে মতবিনিময় করবেন। তার দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা, জনগণের ভূমিকা এবং তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতা-উত্তর আকাঙ্ক্ষা শেয়ার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও তিমুর-লেস্তের মধ্যে কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে তার সফর শেষ করে রামোস-হোর্তা এরপরে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪
টিআর/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।