ঢাকা, বুধবার, ৩ পৌষ ১৪৩১, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

টঙ্গীতে সংঘর্ষে নিহত এক মুসল্লির পরিচয় মিলেছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
টঙ্গীতে সংঘর্ষে নিহত এক মুসল্লির পরিচয় মিলেছে

ঢাকা: গাজীপুরের টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত এক মুসল্লির পরিচয় মিলেছে। তার নাম বিল্লাল হোসেন (৫৫)।

তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ঢাকায় তার নিজস্ব বায়িং হাউজ রয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর স্বজনরা লাশ বুঝে নেন এবং দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের দিকে রওনা হন।

বিল্লালের বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার কুঠিবাড়ি এলাকায়। তার পরিবার বাড্ডার বেরাইদ এলাকায় থাকে।

বিল্লালের ছেলে আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের জানান, মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে গিয়েছিলেন তার বাবা। সঙ্গে তার এক ভাইও ছিলেন। এরপর সকালে তার বাবার মৃত্যুর খবর শুনতে পান তারা। পরে ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে তার বাবার লাশ দেখতে পান।  

এই হত্যার বিচার দাবি করেন আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের।

এর আগে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল হক মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। মরদেহের বুকের বাম পাশে ও বাম বগলের নিচে আনুমানিক দেড় ইঞ্চি পরিমাণ কাটা জখম রয়েছে বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়।

ঢামেক মর্গের একটি সূত্র জানায়, বিল্লালের বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষে আহত ৩৫ জন ঢামেকে
তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৫ জন আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজনকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।  

এদের মধ্যে কয়েকজনের নাম এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। যাদের নাম জানা গেছে, তারা হলেন ফয়সাল (১৮), আব্দুল হান্নান (৬০), নুর ইসলাম, (৪২), সিয়াম (২৪), রিশাদ (৩০), খোরশেদ আলম (৫০), আলাউদ্দিন (৩৫), সাদ (২০), সালাউদ্দিন (৫০), মো. আলম (৫০), আব্দুল্লাহ (৫০), ফোরকান (২৫), মোহাম্মদ নুর হাকিম (৩০), মো. সাইফুল (৩৮), আশরাফ (৩৫), মোহাম্মদ আলী হোসেন (৩৫), আব্দুল বাতেন (৬০), আব্দুল্লাহ (২১), মাহমুদুল হাসান (৩৫), সাঈদ (৪০), আবু হানিফ (৩৫), ইউনুস (২৮), আনোয়ার (৫০), খলিলুর রহমান (৪৩), কামরুজ্জামান (৪৬) ও সালাউদ্দিন (৬২)।

ঢামেকের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার আইয়ুব জানান, টঙ্গীতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আজ ভোর থেকেই হাসপাতালে আহত রোগীরা চিকিৎসার জন্য আসতে থাকেন। এদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন নামে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়।

হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার, মুসল্লিদেরও অবস্থান
এদিকে সকাল থেকে ধীরে ধীরে হাসপাতাল চত্বরে তাবলীগ জামাতের মুসল্লিদের আগমন বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে হাসপাতালের ভেতরে ১০১ ও ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের সিঁড়ির মাঝে দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য কাজ করেন। আহত রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি হাসপাতালের অতিরিক্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে পরিচালক স্যার কাজ করেছেন।

বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগ ভবনের প্রবেশমুখে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা যায়। পাশাপাশি তাবলীগ জামাতের অনেক মুসল্লিকেও হাসপাতাল চত্বরে জায়গায় জায়গায় জট বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
এজেডএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।