ঢাকা: কক্সবাজারের মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর দিয়ে এই অঞ্চলে কানেক্টিভিটি (যোগাযোগ) আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদী ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনিরো। তবে এই কানেক্টিভিটি জোরদারে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়া থাকা দরকার বলে মত দিয়েছেন তিনি।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-বিআইআইএসএসে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ অভিমত দেন।
‘বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে পুনরায় সংযোগ’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বিআইআইএসএস ও ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপিং ইকোনমিকস (আইডিই-জেট্রো)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে চলছে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ। ২০২৯ সালের মধ্যে এ সমুদ্রবন্দরের দ্বিতীয় পর্বের কাজ শেষ হবে। ২০৩০ সাল থেকে এই বন্দরে বাণিজ্যিকভাবে পণ্যবাহী জাহাজ (মাদার ভেসেল) চলাচল শুরু করবে বলে আশাবাদী সরকার।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, মাতারবাড়ী বন্দর দিয়ে এই অঞ্চলে কানেক্টিভিটি আরও জোরদার হবে আশা করি। এই কানেক্টিভিটি জোরদারে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়া থাকা দরকার।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বঙ্গোপসাগর অঞ্চল অর্থনীতি ও ভূ-কৌশলগত কারণে ফোকাল পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। এ কারণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর এলাকায় বড় বড় শক্তির নজর পড়েছে। এটা এখন সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর যেন সহযোগিতার কেন্দ্রে পরিণত হয় আমরা সেই চেষ্টা করছি, যাতে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কেন্দ্র না হয়।
উপদেষ্টা বলেন, গত সাত বছরের বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। রোহিঙ্গাদের অধিকারসহ নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে না পারলে এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না। নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বঙ্গোপসাগর এলাকা গড়ে তোলার জন্য স্থিতিশীলতা দরকার। এজন্য রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সব অংশীজনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই।
সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফএম গাওসুল আজম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর অঞ্চল সহযোগিতা-প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
টিআর/এইচএ/