ঢাকা: বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ সম্পর্কিত অনুরোধ নিয়ে প্রশ্নে এই মুহূর্তে ভারতের কাছে কোনো উত্তর নেই। শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল।
ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে বাংলাদেশের বার্তা পাওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। ওই প্রাপ্তিস্বীকারের বাইরে এই মুহূর্তে তেমন কিছু বলার নেই। ’ খবর এনডিটিভির।
সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আশা করি তিনি ন্যায়বিচার পাবেন। ’
তুরস্ক থেকে বাংলাদেশের ট্যাংক কেনার পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা সংক্রান্ত সবগুলো বিষয় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করি এবং সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিই। ’
তিনি গত ডিসেম্বরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরের পর এক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, ‘পররাষ্ট্রসচিবের ঢাকা সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনায় ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের কথা বলা হয়েছে। ’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তাকে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে কদিন আগেই চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হত্যাকাণ্ড, গত ১৬ বছরে গুম-ক্রসফায়ার, পিলখানা হত্যাকাণ্ড এবং মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড— মোটাদাগে এ কয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এসেছে। শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভা, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা চলমান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৫
আরএইচ