ঢাকা: ২০ দলীয় জোটের হরতাল অবরোধ চলাকালে বোমার আঘাতে গুরুতর আহত এসএসসি পরীক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম অনিকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত চিকিৎসার জন্য অনিককে বিদেশে নিতে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মোতাবেক মিনহাজুল আবেদীন অনিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ের একটি চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
বুধবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার চেন্নাই শংকর নেত্রালয় হাসপাতালের ঢাকা ছাড়বে অনিক।
অনিকের বাবা মিজানুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার হাতে ৫ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রেস সেক্রিটারি এ কে এম শামিম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ খবর নিশ্চিত করেন।
গত ৫ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফেনী শহরের খেজুর চত্বর এলাকায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের ছোড়া বোমার আঘাতে আহত হয় মিনহাজুল ইসলাম অনিক।
বোমায় অনিকের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার চোখ। অনিক ডান চোখে দেখতে পায় না, বাম চোখে অল্প দেখতে পায়।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক ডা. জুলফিকার লেনিন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে যান অনিককে দেখতে। সেখানে তিনি অনিকের খোঁজ খবর নেন।
অনিককে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট তৈরিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
৫ জানুয়ারি আহত অনিককে প্রথমে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হয়। এর পর চোখের চিকিৎসার জন্য তাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
ঘটনার ওই দিন অনিক প্রাইভেট পড়া শেষে বাসায় ফিরছিলো। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিলো অনিকের। কিন্তু গুরুতর আহত হওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে অনিকে।
এ ঘটনায় শাহরিয়ার হৃদয় (১৬) নামে আরেক ছাত্র গুরুতর আহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৫
** চোখের চিকিৎসায় ভারতে ফেনীর ম্যাজিস্ট্রেট কাদের