ঢাকা: সহিংসতা ও সন্ত্রাস কোনো রাজনীতি হতে পারে না বলে উল্লেখ করলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নাশকতায় দগ্ধদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন,‘এটা অত্যন্ত নৃশংস নারকীয় অধ্যায়। একে কলঙ্কজনক অধ্যায় বলে আমি মনে করি। এ ধরনের সন্ত্রাস এবং সহিংসতা কোনো রাজনীতি হতে পারে না। ’
তিনি বিএনপি সহ ২০ দলীয় জোটের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে আমাদের একই দাবি, নিরীহ মানুষের এই ধরনের সন্ত্রাসী সহিংসতা আক্রমণ বন্ধ করুন। রাজনীতি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রত্যেক দেশেই আছে। এজন্য কী পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারবেন। আশা রাখি এ সহিংসতা বন্ধ হবে। আমরা এ সহিংসতা বন্ধে আশাবাদী। ‘
তিনি বলেন, ‘আসলে এ রকম একটা পরিস্থিতিতে কখনও বার্ন ইউনিটে এসে ২২ জন অগ্নিদগ্ধ, যারা আমাদেরই ভাই ও বোন, তাদের দেখতে হবে তা কখনই চিন্তা করি নাই। কাজেই এটি অত্যন্ত নির্মম বেদনাদায়ক একটি অভিজ্ঞতা। চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি এ ক’দিনে তারা মোট ৪৪ জন অগ্নিদগ্ধ রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন হাই কেয়ার ইউনিটে ছিলেন। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে তারা সাধারণ ওয়ার্ডে এসেছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই রিকশা চালক, অটোচালক ট্রাকচালক। খেটে খাওয়া এসব মানুষ নিজেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য রাস্তায় বেরিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় ঢামেকের বার্ন ইউনিটে আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন। বার্ন ইউনিটের বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে তিনি সহিংসতায় দগ্ধদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় বার্ন ইউনিটে ভর্তি সহিংসতায় দগ্ধ রোগীকে দশ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন স্পিকার। দগ্ধদের দেখে বেলা সোয়া বারোটার দিকে ঢামেক থেকে বেরিয়ে যান স্পিকার শিরীন শারমিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৫