তালা(সাতক্ষীরা): জমিতে ধানের চারা রোপণ শেষ করেছেন বেশিরভাগ কৃষক। অনেকে দু’একদিনের মধ্যে শেষ করবে।
ঠিক এমন মুহৃর্তে বেতনা নদীর পানি এসে কেড়ে নিয়েছে কৃষকের সেই ব্যস্ততা। ভেসে গেছে কৃষকের সোনালী ধান ঘরে ওঠার স্বপ্ন। লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে, মাঠের পর মাঠ ইরি-বোরো ধানের চারা।
এ অবস্থা সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের মেশারডাঙ্গা, হরিণখোলা, বাতুয়াডাঙ্গা, কুলপোতা, রাজাপুর, সোনাবাঁধালসহ সাতটি গ্রামের বিলে।
স্থানীয় সূত্র বলছে, বেতনা নদীর সঙ্গে বলুয়া নদীর সংযোগ রয়েছে। কিন্তু সংযোগস্থল প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। এর পাশে রয়েছে পুটিমারি ও গাবতলা স্লুইস গেট। এ গেটের দরজার নিচ দিয়ে পানি ঢুকছে এলাকায়।
দুইদিন (বুধ-বৃহস্পতিবার) ধরে এ পানি এলেও বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি কেউ। এমনকি বিষয়টি জানেন না উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। তিনি শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে এটি শুনেছেন।
রাজাপুর গ্রামের কৃষক শুভাশিষ সরকার বাংলানিউজকে জানান, রাজাপুর বিলে তার ৫ বিঘা জমি আছে। তিনি ধানের চারা রোপণ শেষ করেছে। কিন্তু গতরাতে (বৃহস্পতিবার) তার জমিতে লোনা পানি উঠে গেছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন,‘বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই। বছরের একমাত্র ফসল এটি। সেটিও এখন না হওয়ার আশঙ্কা। ’
মেশারডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য নিমাই সানা বাংলানিউজকে জানান, বিলের মধ্যে ২০ বিঘা জমি আছে তার। এ জমির চারপাশে উঁচু বেড়িবাঁধ দেওয়া রয়েছে। এজন্য তার জমিতে এখনও পানি ওঠেনি। তবে, আশপাশের সব জমি তলিয়ে গেছে। বর্তমানে যেভাবে পানি আসছে, এটি বন্ধ করা না হলে তার জমিও তলিয়ে যাবে।
খেশরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম লিয়াকত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, গাবতলা স্লুইস গেট দিয়ে বেতনা নদীর পানি এসে তার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বিল প্লাবিত হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হলে ইরি-বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সামসুল আলম বাংলানিউজকে জানান, তিনি বিষয়টি জানেন না। তিনি সাংবাদিকদের কাছে থেকে শুক্রবার বিষয়টি শুনেছেন। খুব দ্রুত খোঁজখবর নিবেন বলেও জানান তিনি।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৫