ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অবরোধের ১৮দিন

ভোলায় আটক ৬৮, আসামি সহস্রাধিক

ছোটন সাহা,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৫
ভোলায় আটক ৬৮, আসামি সহস্রাধিক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ভোলা: ভোলায় টানা অবরোধের ১৮দিনে বিএনপি-জামায়েতের ৬৮ নেতাকর্মীতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এসব গ্রেফতারের তালিকায় জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া, থানা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক আবু নোমান ও ছাত্রদল যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন নামও রয়েছে।

এছাড়াও আসামিদের তালিকায় বড় বড় নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে।

পুলিশের উপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা, সড়কে সহিংসতা, গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানো ঘটনায় ৩টি মামলায় মামলায় ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা এক হাজার ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।

মামলারগুলোর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে একটি ও অন্য ২টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন মালিকরা করেছেন। মামলার আসামিদের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপি নেতাকর্মী এখন গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
 
ভোলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সূত্র থেকে জানা গেছে, ৫ থেকে ২২ জানুয়ারি রাত পর্যন্ত জেলা মোট গ্রেফতার ৬০জনের মধ্যে সদর উপজেলাতেই রয়েছে ৪৯ বিএনপি জামায়েত নেতাকর্মী। এদের মধ্যে বেশিরভাগ হরতাল অবরোধে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগ ছিলো। এছাড়াও সহিংসতার ঘটনায় মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কিছু নেতাকর্মী।

গ্রেফতারদের মধ্যে ৫ জানুয়ারি ৮জন, ৬ জানুয়ারি ৩, ৭ জানুয়ারি ৪, ১২ জানুয়ারি ৮, ১৩ জানয়ারি ২, ১৪ জানুয়ারি ১, ১৫ জানুয়ারি ৮, ১৬ জানুয়ারি ৪, ১৭ জানুয়ারি ৬, ১৮ জানুয়ারি ৭, ১৯ জানুয়ারি ৮, ২০ জানুয়ারি ৩, ২১ জানুয়ারি ৫ ও ২২ জানুয়ারি রাত পর্যন্ত একজন।

সহিসংস ঘটনার মধ্যে ৫ জানুয়ারি বিএনপি মিছিলে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৩ পুলিশসহ অন্তত ৩০জন আহত হন। এ ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জসিম বাদী হয়ে নাম উল্লেখ করে ৫৭ জনকে ও অজ্ঞাতনামা ৫শতাধিক নেতাকর্মীকের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

১৫ জানুয়ারি বিএনপি সাধারণ সম্পাদ ফারুক মিয়াকে গ্রেফতারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শহরর বিভিন্ন পয়েন্টে ককটেল ও ছোট ছোট বোমা বিস্ফোরণ, যানবাহনের ভাঙচুর ও একটি অটো বোরাকে আগুন দেওয়া ঘটনায় ঘটে। এ ঘটনায় অটো মালিক কামাল হোসেন বাদী হয়ে নাম উল্লেখ করে ৭৫ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

সূত্র জানিয়েছে, ১৭ জানুয়ারি জেলা বিএনপি সম্পাদকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। হরতালের দিন বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর ও একটি যানবাহনে আগুন দেয় হরতালকারীরা। এ ঘটনায় পরিবহন মালিক রাশেদ বাদী হয়ে নাম উল্লেখ করে ৪২ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ২৫০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

২২ জানুয়ারি ৫টি ককটেলসহ শাহেন শাহ নামে এক নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া তিনি অস্ত্র মামলায় ২৯ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান,  নাশকতা ঠেকাতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জ্বালাও পোড়াও, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা, নাশকতাসহ সন্ত্রাসী কার্যকালাপ একটি ফোজদারি অপরাধ।
 
এ অপরাধে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ সচেতন রয়েছে। এছাড়াও এসব অপরাধে সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে, যারা অর্থ যোগাদাতা তাদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। এসব অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযানে নামছে পুলিশ।
 
জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নাশকতা সৃষ্টিকারীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।