ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঘাচংয়ে দুর্ঘটনা কবলিত আন্ত:নগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছয়টি বগির মধ্যে চারটি বগি লাইন থেকে সরিয়ে পাশে রাখা হয়েছে। বাকি দুটি বগি সরানোর কাজ চলছে।
তবে এতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে রোববার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্টরা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
রোববার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টা ১০ মিনিটে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছয় বগি পাঘাচং রেল স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়।
এদিকে এ ঘটনায় পূর্বাঞ্চললীয় রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলামকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উদ্ধারকাজে নিয়োজিতরা বাংলানিউজকে জানান, বগি উদ্ধার হলেও আপ লাইনে অর্থাৎ দুর্ঘটনা কবলিত লাইন দিয়ে আজ রাতে ট্রেন চলাচলের কোনো সম্ভাবনা নেই। লাইনটির অন্তত তিন’শ ফুট অংশের রেলপাত ও স্লিপার সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। বগিগুলো পাশের ডাউন লাইনে কাত হয়ে পড়ায় ওই লাইনেরও ক্ষতি হয়েছে। এ লাইনটি দিয়ে রাতের মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা কর হবে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার জানান, আগে ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এতে কত সময় লাগবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে দুপুর সোয়া ২টার পর থেকে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর রেল যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আশপাশের আটটি রেল স্টেশন ট্রেন আটকা পড়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সুরমা মেইল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, চট্টগ্রামগামী চট্টলা ও মহানগর প্রভাতি ভৈরব জংশন স্টেশনে, নোয়াখালিগামী উপকূল এক্সপ্রেস নরসিংদী স্টেশনে, ঢাকাগামী চট্টলা ও কর্ণফুলী ট্রেন আখাউড়ায় এবং ঢাকাগামী মহানগর গোধূলি ট্রেন কুমিল্লা স্টেশনে আটকা পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫
